নাদুস নুদুস গোলগাল ছোট্ট ছেলেটা অভিনয় করেছে দেব, রাহুল প্রিয়াঙ্কা, মিঠুন চক্রবর্তী আরো কত তাবড় তাবড় অভিনেতাদের সঙ্গে। যা দেখে সকলের চোখ জুড়িয়ে গেছে। যে বয়সে বাচ্চা ছেলেরা স্টেজে উঠে কবিতা বলতে দশবার ভাবে সেই বয়সেই অভিনয়ের দক্ষতা দেখেছে ছোট্ট অরিত্র। টুলটুলে মুখ, মায়াভরা চোখটা সকলকে বেশ আকৃষ্ট করেছিল।
সোদপুরের এই ছোট্ট ছেলেটা কিভাবে যে সকল মানুষের মনে এক ঝটকায় পৌঁছে গিয়েছিল তার সত্যিই এখন ভাবার বিষয়। তবে তার অভিনয় জীবন শুরু হয়েছিল তিথির অতিথি এ মেগা সিরিয়ালের মাধ্যমে। ২০০৩ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ইটিভি বাংলায় প্রচারিত হয়েছিল। তখনই সাধারণ মানুষের মনের মধ্যে পৌঁছে গিয়েছিল ছোট্ট অরিত্র। তারপর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি একটার পর একটা হিট সিনেমা অরিত্রকে নিয়ে গেছে সামনের দিকে।
পরবর্তীকালে ডান্স বাংলা ডান্স জুনিয়ার এ তাথৈ দেবের সাথে উপস্থাপনার মাধ্যমে ও অরিত্রর আরেকটি দিক সকলের সামনে ফুটে ওঠে। এছাড়া পরবর্তীকালে চিরদিনই তুমি যে আমার রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রিয়াঙ্কা সরকারের সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ পায় ছোট্ট অরিত্র। তারপর পরান যায় জ্বলিয়ারে, চ্যালেঞ্জ, হাঁদাভোঁদা, ওয়ান্টেড, লে ছক্কা, হ্যালো মেম সাহেব, খোকাবাবু, লে হালুয়া লে, লাভেরিয়া, খোকা ৪২০, কানামাছি, খিলাড়ি প্রভৃতি হিট হিট সিনেমায় আমরা প্রত্যেকেই অরিত্রকে দেখেছি। ছোটপর্দাতেই তাকে দেখা গেছে।
তবে এখানেই শেষ নয় অরিত্র একজন প্লেব্যাক সংগীতশিল্পী হিসেবেও কাজ করেছেন ২০১১ সালে হ্যালো মেমসাহেব সিনেমায়। এই গানগুলোর গীতিকার ছিলেন সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তবে বর্তমানে তাকে আর খুব একটা টিভির পর্দায় দেখা যায় না। দীর্ঘদিন ছোট শিল্পী হিসাবে অভিনয় করার পরে হঠাৎ করেই তার মনে হয়েছে অভিনয় জগৎ থেকে একটুও ব্রেক নেওয়া দরকার। টেলিভিশনে দেখা না গেলেও অরিত্রকে ভুলে যায়নি সাধারন মানুষ।
ছোট্ট নাদুসনুদুস গোলগাল চেহারা থেকে এখন গালে দাড়ি ওয়ালা হ্যান্ডসাম যুবক অরিত্র। অনেক সময় দেখা গেছে অভিনয় করতে গিয়ে পড়াশোনায় একটু বেসামাল হয়ে পড়েন অনেকেই। তবে অরিত্র কিন্তু অভিনয়ের পাশাপাশি পড়াশোনাতেও ভীষণ ভালো একজন ছাত্র। ২০১৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিদ্যা স্নাতক হন তিনি। অভিনয় জগৎ থেকে ছুটি নিলেও ইন্ডাস্ট্রিতে ভিডিও এডিটিং এবং কালার গ্রেভিংয়ের কাজ করছেন অরিত্র। তবে জানা গেছে, খুব শিগগিরই তাকে আবার টিভির পর্দায় দেখা যাবে।