Hoop Special

Durga Puja: কিভাবে বধ হয়েছিলেন মহিষাসুর! ছোটদের জন্য দেবী দুর্গার ‘দুগ্গা কথা’

কি এই দুর্গা পুজো? কে মা দুর্গা? কিভাবে তার সৃষ্টি? আজও কি তিনি আছেন? সবটা জানবো ছোট্ট করে। বিশেষত, যেই সব বাচ্চাদের মনে কৌতূহল আছে এই পুজো নিয়ে তাদের জন্য রইলো এই বিশেষ প্রতিবেদন। আজ বাচ্চাদের জন্য দুগ্গা পুজোর গল্প বলবে HoopHaap.Com

আমরা ছবিতে এবং মণ্ডপে দেখি দেবী দুর্গা, যার দশ হাত এবং তাতে দশ রকম অস্ত্র। পাশে সিংহ ও পায়ের নিচে মহিষাসুর। ত্রিশূল দিয়ে মা মহিষাসুরকে বধ করেছেন। এই চিত্র আমরা দেখি। কিন্তু কে এই দুর্গা?

দুর্গা হল সে যে অদম্য সাহসী, পরাক্রমশালী, বিজয়িনী, রূপবতী, গুনবতী, এবং যে মা। এই দুর্গা রয়েছে প্রতি ঘরে ঘরে। তার গুণ রয়েছে প্রত্যেক নারীর মধ্যে কম আর বেশি। তাইতো এই দেশে মায়ের পুজো হয়। যাইহোক, দুর্গা হলেন তিনিই যাকে সৃষ্টি করেছেন ত্রিদেব (ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর) । তিন দেবতার তেজ থেকে সৃষ্টি হয়েছে রণংদেহি দেবী দুর্গা। আশ্বিন মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশী তিথিতে হিমালয়ের শীর্ষে মহর্ষি কাত্যায়নের আশ্রমে আবির্ভূত হন সেই দুর্গা। সেইজন্য তার আরেক নাম দেবী ‘কাত্যায়নী’।

মহিষাসুর হল সেই অসুর যে অমরত্ব লাভ করতে চায়। অর্থাৎ কেউ তাকে দমন করতে পারবে না। কারণ সমুদ্র মন্থন করার পর যেই অমৃত কলসি উঠে আসে সেটি দেবতারা পান করে। তাই কোনো ভাবেই তিনি দেবতাদের পুরোপুরি বিনাশ করতে পারেননি, তখন তিনি ব্রহ্মার আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য ধ্যান করেন। ব্রহ্মা সন্তুষ্ট হয়ে জানান যে তিনি অমরত্বের বর দিতে পারবেন না ঠিকই তবে কোনো পুরুষ হত্যা করতে পারবে না। বোকা মহিষাসুরের মাথায় এটা আসেনি যে পুরুষ না হয় হত্যা করতে পারবে না কিন্তু অন্য কেউ তো পারতেই পারে।

অসুর খুশি হয়ে যা ইচ্ছা তাই করছে। তাণ্ডব শুরু করে দিয়েছে। সেই সময় দুর্গা তার দশ রূপ নিয়ে ময়দানে নামেন। মহিষাসুর বহু ছলনা করে, দুর্গাকে পরাস্ত করার জন্য। সেও দশ রকম রূপ নিয়ে আক্রমণ করে, কিন্তু দেবীর সঙ্গে পারে না। কখনো মহিষ, তো কখনো হাতি, তো কখনো সুদর্শন পুরুষ তো কখনো অর্ধ মহিষ ও অর্ধ পুরুষ রূপে আক্রমণ করে। তাতেও তার পরাজয় হয়। দেবীর বাহন সিংহ হয়ে মহিষাসুরের শরীরে ঝাঁপিয়ে পড়ে, সেই সময় দেবী মহা দেবের দেওয়া ত্রিশূল দিয়ে বুকে সজোরে চেপে ধরেন। এভাবেই দেবী বধ করেন দুষ্টের।

এদিকে, কালিকা পুরাণ অনুসারে জানা যায় দেবী তিন বার মহিষাসুরকে বধ করেন। একবার – অষ্টাদশভূজা উগ্রচণ্ডী রূপে, দ্বিতীয়বার – ষোড়শভুজা ভদ্রকালী রূপে, এবং তৃতীয়বার – দশভূজা দেবী দুর্গা রূপে, যেই দশভূজা মায়ের আরাধনা হয় আশ্বিন মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশী তিথিতে বা শরৎকালে। একে আবার অকালবোধনও বলা হয়। কালিকা পুরাণ ও বৃহদ্ধর্ম পুরাণ অনুসারে, রাম ও রাবণের যুদ্ধের সময় শরৎকালে দুর্গাকে পূজা করেছিলেন রাম চন্দ্র।কারণ, রাবণকে পরাস্ত করা রামের একার পক্ষে সম্ভব ছিল না। একমাত্র রামের কঠিন আরাধনায় সন্তুষ্ট দুর্গা, রাবণের পক্ষ ত্যাগ করার আশীর্বাদ দেন। এরপরেই রাম নিধন করেন রাবণকে। সেই জন্য এই পুজোকে দেবীর অকালবোধন বলা হয়।

whatsapp logo