Hoop Life

Lifestyle: লবঙ্গ দিয়েই মুশকিল আসান, বাস্তুদোষ কেটে গিয়ে ফিরবে সৌভাগ্য

জীবনে সুখ শান্তি কেই বা না চায়! সকলের মনে একটাই চাহিদা- জীবনে থাকুক সুখ, মনে থাকুক শান্তি আর ব্যাংকে আধিক্য হোক লক্ষ্মীর। কিন্তু এই সুখ ও শান্তির মাঝেই আচমকা কখনো কোনোদিন নেমে আসে চরম বিপদ। অসফলতা ও মানসিক অশান্তিতে ডুবে যায় আমাদের মনের সবটা। তবে এমন সব সময়কে পের করে ভালো সময় আসে ঠিক সেভাবেই, যেভাবে রাতের পর দিন আসে। তবে এটি তাড়াতাড়ি করতে হলে সেখানে জ্যোতিষশাস্ত্র ও বাস্তুশাস্ত্র কিছু বিধি দিয়ে থাকে। মূলত এই সব বিষয়েই চর্চা হয় জ্যোতিশশাস্ত্র ও বাস্তুশাস্ত্রে।

কিন্তু জীবনের সব সমস্যার সমাধানের উপায় রয়েছে আমাদের চারপাশেই। এই মতামত দিয়ে থাকেন ভারতের প্রাচীনতম এই দুই শাস্ত্রের বিশেষজ্ঞরা। তাই জীবনে কঠিন সমস্যা হলেও সেভাবে দুশ্চিন্তা বা হতাশাগ্রস্ত না হয়ে পড়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন তারা। কারণ আমাদের বাড়ির সাধারণ ব্যবহার্য জিনিসপত্র বা রান্নাঘরের কোনো বস্তুকে সঠিকভাবে ব্যবহার করলেই তার সুফল পড়ে আমাদের জীবনের উপর। আর এইসব সমাধানের বিষয়েও আলোচনা হয়ে থাকে জ্যোতিষশাস্ত্রে।

এবার আমাদের জীবনে যদি নেতিবাচক শক্তির প্রভাব বেড়ে যায়, তাহলেই নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে থাকে আমাদের পরিসরে। তবে এই নেতিবাচক শক্তিকে দূরে রাখতে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল লবঙ্গ। লবঙ্গ মূলত রান্নার কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে আমাদের বাড়িতে। তবে জ্যোতিষশাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, লবঙ্গকে সঠিকভাবে বাড়িতে রাখা হলেই সৌভাগ্য সেই বাড়িতেই বন্দি থাকবে চিরকালের জন্য। কারণ লবঙ্গ দিয়েই লক্ষ্মীলাভ হয়ে থাকে। এছাড়াও এর মাধ্যমে সিদ্ধিদাতা গনেশকে তুষ্ট করা যায়।

তবে লবঙ্গের মাধ্যমে জীবনের সমস্যার সমাধান করতে মেনে চলতে হবে বিশেষ কয়েকটি নিয়ম। জ্যোতিষীরা মনে করেন যে লবঙ্গের মাধ্যমে নানা কাজে বাধা এলে তা কেটে যায় অনায়াসে। এর জন্য পান পাতায় লবঙ্গ, এলাচ ও সুপরি মুড়ে সেটি সিদ্ধিদাতা গণেশকে অর্পণ করতে হবে। এতে যেমন একদিকে জীবনের নানা বাধা কেটে যাবে, তেমনই রাহু ও কেতুর দোষও এর মাধ্যমে অনেকটাই কেটে যায়। তবে জীবীন থেকে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব দূর করতে হলে ৫টি লবঙ্গ, কর্পূর ও ৩টি বড় এলাচ শনিবার সন্ধ্যায় প্রথমে পোড়াতে হবে, এবং তারপর তা সেই ধোঁয়া দিতে হবে সারা বাড়িতে।

Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। কোনরূপ কুসংস্কারকে প্রশ্রয় দেওয়া আমাদের অভিসন্ধি নয়।

whatsapp logo

Debaprasad Mukherjee

Hoophaap-এর সম্পাদক দেবপ্রসাদ বিগত কয়েক বছর যাবৎ সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ার হাত ধরেই সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি। রাজনীতি, বিনোদন, খেলাধুলা, লাইফস্টাইল, প্রযুক্তি প্রভৃতি সব ধরণের খবরের উপস্থাপনার কাজে যথেষ্ট সাবলীল। নিউজ ডেস্ক ছাড়াও রয়েছে ভিডিও এডিটিং এবং ক্যামেরার পিছনে বিচিত্র অভিজ্ঞতা