Rail Gate: পারাপার করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, বাংলার কোন কোন স্টেশনে রয়েছে এমন বিপজ্জনক রেলগেট!
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ইদানিং রেলগেট সংক্রান্ত কিছু সমস্যার সকলেরই চোখের সামনে আসছে, গেট পড়ার জন্য কার্যত ঝুঁকি নিয়েই লাইন পারাপার করতে হয়। সাধারণ মানুষকে বারবার এ ব্যাপারে অনেকভাবেই সতর্ক করা হলেও কিছু মানুষের কিছুতেই হুশ ফিরছে না। বাংলাতেই আছে এমন বেশ কিছু স্টেশন, যেখানে রেলগেটগুলির সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে, যার জন্য জায়গায় ট্রেন চলাচলেও ব্যাপক বিঘ্ন করছে সাধারণ মানুষেরও অনেক সমস্যা হচ্ছে। কোনো কোনো রেলগেটের সমস্যা তো চরম আকার নিয়েছে। সেই সমস্ত রেলগেটগুলির নাম প্রকাশ করল পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। রেল গেট পড়ে যাওয়ার পরও কিভাবে মানুষজন লাইন পারাপার করছেন তা সত্যিই ভয়ের সৃষ্টি করেছে।
আসলে মানুষের ধৈর্য এতটাই কমে গেছে, যে কেউ আর রেলগেটে অপেক্ষা করতে চান না। একটুখানি ছুটেই পার হয়ে যাওয়া যাবে, রেললাইন। আর এই অতি সাহসিকতার জন্যই ঘটে যাচ্ছে নানান রকম ঘটনা, কিন্তু যখন রেলগেট পরে, লাল সিগন্যাল থাকে, তখন তো আপনাকে দাঁড়িয়েই থাকতে হবে সেটা নিয়ম। যদি অত বেশি তাড়া থাকে তাহলে বাড়ি থেকে একটু তাড়াতাড়ি বেরোতে হবে, না হলে কিন্তু বিপদে পড়তে পারেন। অনেক সময় এক্সপ্রেস ট্রেনের গতি আমরা দূর থেকে বুঝতে পারি না, হয়তো মনে হয় অনেক দূরে আছে, কিন্তু হুশ করে কাছে চলে আসতে পারে, সেই জন্য রেলগেটে দাঁড়িয়ে থাকুন। যতক্ষণ না ট্রেনটা চলে যাচ্ছে ততক্ষণ অব্দি আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে।
রেলগেট বন্ধ হওয়ার পরও মানুষ তাড়াহুড়ো করে সেটি পেরোনোর চেষ্টা করছেন, মানুষজন একবার ঢুকে পড়লে ট্রেন চলাচলের সমস্যা হতে পারে, আর ইদানিং দেখতে পাওয়া যাচ্ছে লেভেল ক্রসিং গেট বন্ধ করতে চেয়েও বন্ধ করা যাচ্ছে না, কারণ গাড়ি মোটর বাইক ক্রমাগত লেভেল ক্রসিং এর গেটের মধ্যে দিয়েই চলাচল করছে, মানুষের কোনোরকম ভাবেই সচেতনতা নেই।
কোন কোন রেলগেট গুলি অত্যন্ত বিপদজনক একবার চোখ বুলিয়ে নিন –
খড়দহে ৯ নং গেট , বেলঘড়িয়ায় ২ নং গেট , ব্যারাকপুরে ১৪ নং গেট, দমদম ক্যান্টনমেন্টের ১ ও ২ নং গেট, টিটাগড়ে ১২ নং গেট, রানাঘাটে ৫৭ নং ইত্যাদি গেটগুলিতে ব্যস্ত সময়ে অর্থাৎ সকাল ৮:৩০ থেকে ১১:৩০ টা এবং বিকেল ৫:৩০ টা থেকে ৮:৩০ টা পর্যন্ত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ১৫-২০ মিনিট ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখতে হচ্ছে, যার ফলে অপেক্ষারত প্রতি ট্রেনে যাত্রীকারীরা প্রায় হাজার থেকে বারোশো যাত্রীরা প্রচুর সমস্যার মুখে পড়ছেন। তারা যে সময় ভাবছেন গন্তব্যস্থলে পৌঁছবেন তার থেকে অনেকটা দেরিতে পৌঁছছেন।
যদি একটা ট্রেনের যাত্রাপথে রেলগেটে একটা ট্রেন কে পাঁচ থেকে সাত মিনিট দাঁড়াতে হয়, তবে পাঁচ থেকে ছটি লেভেল ক্রসিং গেট মিলিয়ে মোটামুটি আধ ঘন্টার কাছাকাছি লেট হয়ে যাচ্ছে। আর সকাল বেলা যেখানে নিত্যযাত্রীরা অফিসে যাওয়ার জন্য তারা আধঘন্টা লেট মানে অনেকটাই লেট। তবে যে শুধুমাত্র শিয়ালদা তেই এমন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তা কিন্তু না, হাওড়া শাখাতে যেমন একই অবস্থা, রিষড়ায় ৩ ও ৪ নং গেট, উত্তরপাড়ায় ২সি , বৈদ্যবাটিতে ১১ স্পেশাল, বেলুড়ে দেড় নম্বর গেট, তালিতে ৫৬ স্পেশাল ইত্যাদি গেটগুলি তালিকায় আছে।
রেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বলা হচ্ছে, যে যখন লাইনে লেভেল ক্রসিং পড়ে যাচ্ছে, তখন কোনভাবেই লাইন পারাপার করার চেষ্টা করবেন না, একটি দণ্ডনীয় অপরাধ, তার থেকেও বড় কথা নিজের প্রাণের থেকে তো বড় কিছু হয় না। হাতে সময় রেখে বাড়ি থেকে বেরোনোর চেষ্টা করুন।