Lifestyle: বাড়ির এই স্থানে কখনো কর্পূর জ্বালাবেন না, জীবনে নেমে আসবে অন্ধকার
বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, কর্পূর এবং লবঙ্গ দুটি জিনিসই আমাদের জীবনকে পাল্টে দিতে পারে কর্পূর, লবঙ্গকে যদি একসঙ্গে জ্বালাতে পারেন। তাহলে আপনার বাড়ি থেকে সমস্ত নেগেটিভ শক্তি দূর হয়ে যাবে। নেগেটিভ শক্তি যত দূরে চলে যাবে আপনার জীবন তত পাল্টে যাবে। আমরা অনেক সময় বুঝতে পারি না, আমাদের জীবনে এমন এমন কিছু ঘটনা ঘটতে থাকে যার কোন ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না বা যার কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।
কর্পূর আর লবঙ্গকে যদি একসঙ্গে পোড়ানো যায়, তাহলে আপনার জীবনে দেখবেন, কত সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে চারিদিকে। শারীরিক সমস্যা, মানসিক সমস্যা, গৃহের বাস্তুদোষ যে কোনো সমস্যা থেকে মেটাতে অবশ্যই কর্পুর আর লবঙ্গকে একসঙ্গে জ্বালান।
পুজো করুন লবঙ্গ জ্বালিয়ে – পুজো করার সময় আমরা অনেকেই প্রদীপ জ্বালাই, এই প্রদীপ চালানোর সময় যদি দুটো লবঙ্গ দিয়ে দেওয়া হয়, আর এই জ্বালানো প্রদীপ যদি সারা ঘরে তার ধোঁয়া ছড়িয়ে দেওয়া যায়, তাহলে প্রত্যেকটি ঘর থেকে নেগেটিভ শক্তি দূরে চলে যাবে। আর আপনার জীবন হয়ে যাবে, ভীষণ সুন্দর। লবঙ্গ জ্বালানোর ফলে সেই ধোঁয়া পজেটিভ এনার্জি। এছাড়াও লবঙ্গ জ্বালানোর ফলে প্রথমেই যে বিষয়টি হয়ে থাকে, তা হল শরীরের ভেতরে এবং ঘরের ভেতরের সমস্ত ব্যাকটেরিয়া নিমেষের মধ্যে উধাও হয়ে যায়।
কর্পূর, লবঙ্গ একসঙ্গে জ্বালান- বাস্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধুমাত্র লবঙ্গ নয়, এই প্রদীপের মধ্যে যদি কিছুটা কর্পূর দিয়ে একসঙ্গে জ্বালাতে পারেন, তাহলে এর উপকারিতা অনেক। এই যে ধোঁয়া তৈরি হবে, সেই ধোঁয়ায় গৃহের মধ্যে যে পজেটিভ শক্তি তৈরি হবে, তার জন্য আপনি সমস্ত সমস্যা থেকে একেবারেই মুক্তি পেয়ে যাবেন। মানসিক শক্তি অনেক বেশি পরিমাণে তৈরি হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কর্পূরকে আপনি যদি ব্রহ্মমুহূর্তে জানান, সেক্ষেত্রে আপনার গৃহে অনেক বেশি পজিটিভিটি চলে আসবে। আর যদি সম্ভব না হয়, তাহলে সকাল, সন্ধ্যা জ্বালাতে পারেন। কিন্তু একটা জিনিস মাথায় রাখবেন কর্পূর কিংবা অন্য কিছু কিন্তু মাটির পাত্রে জ্বালানো ভীষণ অশুভ, আমরা অনেক সময় ধুনো জ্বালানোর জায়গাটি সেটা মাটির পাত্র ব্যবহার করি। কিন্তু এই মাটির পাত্রে ব্যবহার করাটা কিন্তু একেবারেই উচিত নয়। এতে করলে আপনার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। শুধু এই কথাটি একটু মাথায় রাখবেন, সেক্ষেত্রে এটা তামার বা স্টিলের পাত্র ব্যবহার করুন।
Disclaimer: বাস্তুবিদদের পরামর্শ ও মতামতের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। ব্যক্তিবিশেষে এর ফল ভিন্ন হতে পারে।