Savings Scheme: ৪১৬ টাকার বিনিয়োগে কোটিপতি হওয়ার সুযোগ, অবিলম্বে আবেদন করুন এই সরকারি স্কিমে
কর্মকালের রোজগার থেকে কিছুটা সরিয়ে ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করতে কমবেশি সকলেই উদ্যোগী হন। তবে সঞ্চয়ের প্রসঙ্গ এলেই অধিকাংশ মানুষের মনে দানা বাঁধে ভয়। কারণ দেশজুড়ে ‘চিট ফান্ড কাণ্ডের’ রমরমা ছিল কয়েকবছর আগে অবধি। এমন অবস্থায় কেউ কেউ ঝুঁকি নিয়ে শেয়ার বাজারের দিকে পা বাড়ালেও বেশিরভাগ মানুষই এখনো ভরসা করেন নির্ভরযোগ্য সরকারি বিনিয়োগ সংস্থাগুলির উপর। তাই বিগত কয়েকবছরে ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে বিনিয়োগের প্রবণতা কমেছিল। তবে বিগত সময়ে সেই প্রবণতা আবার ফিরে এসেছে।
কিন্তু এখনো বিনিয়োগের স্থান নির্বাচন করতে অনেকেই কুন্ঠাবোধ করে থাকেন। তবে বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসেবে বেশ কিছু ব্যাঙ্ক যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে পোস্ট অফিসের জনপ্রিয়তা। ব্যাঙ্ক ও পোস্ট অফিসের বিভিন্ন সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের স্কিম ভালো হারে রিটার্ন দেয়। তাও আবার ঝুঁকি ছাড়াই পাওয়া যায় ভালো রিটার্ন। আর এবার এই ভরসাযোগ্য কেন্দ্রীয় বিভাগ পোস্ট অফিস নিয়ে এল আকর্ষণীয় একটি স্কিম। যেখানে রয়েছে দারুন রিটার্ন পাওয়ার সুযোগ।
এটি হল পোস্ট অফিসের একটি পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF) স্কিম। এই স্কিমে নির্দিষ্ট সময়ের পর উল্লেখযোগ্য হারে পাওয়া যায় রিটার্ন। এই সরকারি স্কিমে ৭.১ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হয়। আর সবথেকে বড় বিষয় হল এই যে এই স্কিমে সুদের হিসেব হয় চক্রবৃদ্ধি হারে। ট্যাক্স ছাড়ে ১৫ বছরের জন্য এই স্কিমে বিনিয়োগ করা গেলেও সেটিকে আরো ১০ বছর অবধি বাড়ানো যায়। এই স্কিমে প্রতিদিন ৪১৭ টাকা বা মাসে ১২,৫০০ টাকা করে জমালেই ২৫ বছর পর আপনি হতে পারেন কোটিপতি।
এই স্কিমে যেভাবে কোটিপতি হওয়ার সুযোগ রয়েছে, সেটি দেখে নিন এবার। ধরুন আপনি দৈনিক ৪১৬ টাকা করে বিনিয়োগ করছেন এই স্কিমে। সেক্ষেত্রে আপনার মাসিক বিনিয়োগ হবে ১২,৫০০ টাকা। এবার এই একই পদ্ধতিতে আপনি যদি ১৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করেন, তাহলে আপনার সঞ্চয় হবে ২২.৫০ লক্ষ টাকা। এক্ষেত্রে ম্যাচুরিটিতে আপনি ৪০.৬৮ লক্ষ টাকা পাবেন। এবার ১৫ বছর পরে এটিকে যদি আরো ১০ বছর বর্ধিত করেন, সেক্ষেত্রে আপনার মোট বিনিয়োগ হবে ৩৭.৫০ লক্ষ টাকা। কিন্তু এভাবে ২৫ বছর পর মোট ১.০৩ কোটি টাকা পাওয়া যাবে রিটার্ন হিসেবে।