Chicken Price: পৌষের আগেই চরম সস্তা চিকেন! কেজিপ্রতি দাম কমল ৪০ টাকা অবধি
ডিসেম্বরের শুরুতে সেভাবে শীতের প্রভাব দেখা যায়নি বাংলায়। কারণ কয়েকদিন আগেই ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’-এর প্রভাবে শীতের আগমন কিছুটা ব্যাহত হলেও ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা কেটে যেতেই ফের শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছে রাজ্যজুড়ে। গতকাল থেকেই কুয়াশায় ঢাকছে চারপাশ। রাত বাড়লেই নামছে পারদ। সূর্যাস্তের পরেই শীতের চাদরে ধীরে ধীরে ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। ফলে পৌষের আগমবের আগেই যে বাংলায় শুরু হয়েছে শীতের প্রভাববিস্তার, তা স্পষ্টভাবে বলাই যায়।
আর এই শীতকাল মানেই রকমারি খাবারের চাহিদা তৈরি। এই ঠান্ডায় আমাদের সকলের নানা রকমারি খাবার খেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু এই ইছেতে বাঁধ সাধছে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি। উৎসবের মরশুম পেরিয়ে যাওয়ার পরেও অগ্নিমূল্য রয়ে গেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব দ্রব্য। সবজি থেকে মাছ-মাংস, মশলাপাতি থেকে শুরু করে চাল ও ডাল- সবকিছুর দাম বাড়ছে দিনের পর দিন। আর এই বিষয়টি এখন শুধুমাত্র বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে হচ্ছে না, বছরের সব মাসেই এভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ছবিটা ধরা পড়ছে গোটা দেশে। পেট্রোপণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব যে বিভিন্ন সামগ্রীর পরিবহনে পড়ছে, তা মোটামুটি পরিষ্কার।
তবে যে রবিবার প্রথম শীত অনুভূত হল বাংলার বুকে, সেই রবিবার দারুন খবর এলো বাংলার নানা হাটবাজার থেকে। তার কারণটা ঠিক কি? সবজির দাম কমেছে? না, তেমনটা মোটেই নয়। কারণ বিগত কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে আগের থেকে কার্যত অগ্নিমূল্য হয়েছে নানা সবজি। এর মাঝে আবার পেঁয়াজের দাম কপালে ভাঁজ ফেলছে বাঙালির। কারণ কেজিপ্রতি ৭০ টাকার গন্ডি পেরিয়ে এখন সেঞ্চুরির লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে পেঁয়াজ। অন্যদিকে রসুনের দামও করে নিয়ে ট্রিপল সেঞ্চুরি। আদার দামও নেহাত কম নয়।
তবে এই অবস্থায় রবিবারের বাজারে স্বস্তি ফেরালো চিকেনের দাম। কারণ আচমকা শীতের এমন ছুটির দিনে বিরাট সস্তা হয়ে গেল মুরগির মাংস। সোদপুরের বাজারে রবিবার চিকেন বিক্রি হয়েছে ১১৫ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে বর্ধমানে গোটা মুরগির দাম রয়েছে কেজিপ্রতি ৯০ থেকে ১০০ টাকা। যেখানে কাটা মুরগি বিকোচ্ছে কেজিপ্রতি ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। হুগলির বাজারেও কেজিপ্রতি চিকেনের দাম রয়েছে ১৫০ টাকার কম। কিন্তু কেন আচমকা এই দাম কমে গেছে, তা ফলাও করে বলতে পারেননি ব্যবসায়ীরা।