এখনও জায়গায় জায়গায় চলছে বিজয়া সম্মিলনী’র অনুষ্ঠান। সম্প্রতি, বামনগাছিতে এক বিজয়া সম্মিলনীর (Bijaya dashami celebration) অনুষ্ঠানে এসেছিলেন অভিনেতা তথা বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী (Chiranjeet Chakraborty)। প্রসঙ্গত, আগামী বছরের একেবারে শুরুর দিকে হতে পারে পঞ্চায়েত ভোট। শীতের মরশুমে মধ্যেই চলবে ভোট প্রক্রিয়া। তাই তার আগে জোরকদমে চলছে প্রচার।
পঞ্চায়েত ভোটের কথা মাথায় রেখেই চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী ওইদিন বলেন, ‘চালে দু’চারটে কাঁকর থাকতে পারে। কিন্তু চালটা খাব না, এটা হয় না। চাল তো খেতেই হবে। সেদ্ধ করে।’ দলের কিছু মানুষের দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে এদিন বিধায়ক চিরঞ্জিৎ বলেন যে তার দলের কেউ কেউ মাথা হয়ে উঠতে চাইছিলেন, কিন্তু সেটা সম্ভব নয়। সবাই রাজা হতে পারে না। গুটি কয়েক মানুষের জন্য গোটা দল খারাপ হয়ে যেতে পারে না। যারা দোষ করেছেন তারা অবশ্যই শাস্তি পাবেন।
এদিন, নিজের বারাসত এলাকা প্রসঙ্গে, গর্বের সঙ্গে চিরঞ্জিৎ বলেন,‘ইডি শিকড়ের খোঁজে বারাসতে এসেছিল। কিন্তু আমার বারাসতে কোনও কলঙ্ক নেই।’ প্রসঙ্গত, বারাসতের সাহা টেক্সটাইল দোকান নিয়েও যথেষ্ট জল ঘোলা হয় পার্থ ও অর্পিতার কেলেঙ্কারি নিয়ে। ইডি বারাসতের সাহা টেক্সটাইলের কর্ণধারকে জেরা করবেন বলেও খবর আসে, কিন্তু শেষে সবটাই ধামাচাপা পড়ে যায়। এছাড়াও, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের সূত্র ধরে বারাসতের বাসিন্দা তাপস মণ্ডলের বাড়ি পৌঁছায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই দুটি বিষয় নিয়েই কি বিধায়ক চিরঞ্জিৎ সরব হয়েছেন? প্রতিবাদী হয়েছেন?
তবে, শুধু প্রতিবাদ নয়। ওই বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে এসে বিধায়ক চিরঞ্জিৎ, কেন্দ্রকে খোঁচা দিয়ে এও বলেন, ‘আমাদের কাছে একটা লাঠি আছে। যার নাম সিআইডি। ওদের কাছে দু’টি রিভলভার আছে— ইডি আর সিবিআই। তাই লাঠি নিয়ে ওদের সঙ্গে লড়াই করা সম্ভব নয়।’এখানেই চুপ থাকেননি তিনি। আরো কিছু শব্দ জুড়ে চিরঞ্জিৎ বলেন,‘রাজা যে হতে চাইছে না— যেমন আমি ইডি, সিবিআইকে কালই ফোন করে কথা বলতে পারি। ডাকতে পারি। বলতে পারি আমার বাড়িতে আসুন, আমার বাড়িতে মিষ্টি খাবেন। কিন্তু আমি নিশ্চিত তা-ও আসবে না।’