গত বছর নভেম্বর মাসে আয়োজিত হয়েছিল আন্তর্জাতিক কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব। এই চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে উপেক্ষিতই থেকে গিয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty), রূপা গাঙ্গুলী (Rupa Ganguly)-রা। অথচ তাঁদের মাধ্যমেই বাংলার নাম ছড়িয়ে পড়েছিল সমগ্র ভারতবর্ষে। এই প্রসঙ্গে চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী (Chiranjeet Chakraborty) বলেছিলেন, তাঁকে কেউ গালাগালি করলে তিনিও ওই ব্যক্তিকে নিজের মেয়ের বিয়েতে নিমন্ত্রণ করবেন না। এই ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এরপরেই বাংলায় বিজেপি সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও মিঠুন উঠে এসেছেন আলোচনার শীর্ষে। তার একটিই কারণ , ‘প্রজাপতি’।
দেব প্রযোজিত বাংলা ফিল্ম ‘প্রজাপতি’ নন্দনে শো না পেলেও ভারত জুড়ে সুপারহিট হয়ে গিয়েছে। এই ফিল্মে মিঠুন অভিনয় করেছেন দেবের বাবার চরিত্রে। আপামর বাঙালি পিতা-পুত্রের রসায়নের পাশাপাশি দেখেছেন দীর্ঘ কাল পরে মমতা শঙ্কর (Mamata Shankar) ও মিঠুনের অনস্ক্রিন সমীকরণ। মিঠুনের অভিনয় কোনোভাবেই চিড় খায়নি, তা বুঝেছেন মানুষ। এই পরিস্থিতিতে প্রায় হঠাৎই অবাক করা কথা বললেন চিরঞ্জিৎ। সম্প্রতি বর্ধমানের নীলপুর যুব উৎসবের মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন অভিনেতা ও তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক চিরঞ্জিৎ। সেখানে তিনি মিঠুনকে নিজের ভালো বন্ধু হিসাবে সম্বোধন করেন। এরপর রাজ্য রাজনীতি তথা মিডিয়ার সাথে যুক্ত অনেকেই চমকে গিয়েছেন।
View this post on Instagram
এই প্রসঙ্গে সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে চিরঞ্জিৎ বলেন, অনেকেই মনে করছেন, তিনি মিঠুনের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। কিন্তু মিঠুন তাঁর যথেষ্ট ভালো বন্ধু। তবে রাজনীতির ব্যাপার আলাদা। ‘প্রজাপতি’-র প্রশংসা করার পাশাপাশি মিঠুনের অভিনয়ের প্রশংসা করে চিরঞ্জিৎ বলেন, রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা হলেও বন্ধুত্ব বা অভিনয়ে কোনও মতভেদ থাকবে না। অপরদিকে ‘প্রজাপতি’ মুক্তির পর তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেছিলেন, মিঠুনের খারাপ অভিনয়ের জন্য ফ্লপ হয়েছে এই ফিল্ম। সেটা ছিল ‘প্রজাপতি’- র চলার শুরু। দেব স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, প্রয়োজন হলে আবারও মিঠুন তাঁর প্রযোজনায় অভিনয় করবেন।
‘প্রজাপতি’ ব্লকবাস্টার হওয়ার পাশাপাশি ওয়েস্ট বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সেরা অভিনেতার সম্মান পেয়েছেন মিঠুন। চিরঞ্জিৎ মনে করেন, সম্মান পাওয়া যে কোনো শিল্পীর কাছে গর্বের বিষয়। বিতর্ক আলাদা স্থানে রয়েছে। তবে তাঁর মতে, নন্দনে ‘প্রজাপতি’-র শো না পাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে আবেদনের গাফিলতি। শৈশব থেকেই মিঠুন তাঁর বন্ধু বলে জানান চিরঞ্জিৎ। মিঠুনের বাড়িতে রাত কাটিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি গিয়েছেন মিঠুনের উটির হোটেলেও। শেষ অবধি মিঠুনকে ‘ফ্যান্টাস্টিক’ বলেই ফেললেন চিরঞ্জিৎ।
View this post on Instagram