‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’-এর পঁচাত্তরের ইন্দুবালার লুক ইতিমধ্যেই একাধারে প্রশংসিত ও বিতর্কিত হয়েছে। আগামী 8 ই মার্চ , আন্তর্জাতিক নারী দিবসে জানা যাবে আদৌ শুভশ্রী গাঙ্গুলী (Subhashree Ganguly)-র মাইলস্টোন তৈরি হল কিনা! ইন্দুবালা কেড়ে নিয়েছিল শুভশ্রীর রাতের ঘুম। হয়ে উঠেছিল চ্যালেঞ্জ। শুভশ্রী জানালেন, ইন্দুবালার মতো পঁচাত্তর বছরের বৃদ্ধার চরিত্রকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে হাঁটা-চলা তো বটেই, সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল কন্ঠস্বর। ডাবিং-এর সময় অনেক ধরনের ভয়েস ট্রাই করার পর দেবালয় ভট্টাচার্য (Debalay Bhattacharya)-র পছন্দ অনুযায়ী ইন্দুবালার ভয়েস রেকর্ড করা হয়েছে।
শুভশ্রী আগে থেকেই নিশ্চিত অনেকের পছন্দ হবে, অনেকের হবে না। কিন্তু দেবালয়ের পাশাপাশি তিনিও উচ্ছ্বসিত ইন্দুবালাকে নিয়ে। পাশাপাশি রয়েছে মেকআপ আর্টিস্ট সোমনাথ কুন্ডু (Somnath Kundu)-র অবদান। শুভশ্রীর মতে, সোমনাথের তৈরি প্রস্থেটিক মেকআপে ইন্দুবালা চরিত্রের প্রাণ হারিয়ে যাওয়ার ভয় নেই। সোমনাথ তাঁর সেরা দিয়েছেন। শুভশ্রীও নিজের সেরা দিতে চেষ্টা করেছেন। তিনি চান, সোমনাথ নয়, শুভশ্রী নয়, সবাই দেখুক ইন্দুবালাকে। ইউভান (Yuvan) অবশ্য ইন্দুবালার লুকে মাকে দেখেই চিনতে পেরেছে।
View this post on Instagram
শুভশ্রীর মতে, বর্তমান প্রজন্মের শিশুরা খুব স্মার্ট। কিন্তু এ হল মাতৃত্বের টান যা অনুভব করেছে ইউভান। এমনকি শুটিংয়ের সময় ভিডিও কল করে অন্য কন্ঠস্বরে কথা বললেও ইউভান তানকে বলেছে, মাম্মাজি ঠাম্মা। রাজও যথেষ্ট খুশি ইন্দুবালার চরিত্রে শুভশ্রীকে দেখে। নারীদিবসে মুক্তি পাবে ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’। কিন্তু এখনও কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের পারিশ্রমিকে রয়েছে বৈষম্য। শুভশ্রী জানালেন, ষোল বছর আগে তিনি যখন ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলেন, তখন নারী-পুরুষের সাম্য নিয়ে কোনো কথা হত না। বর্তমানে লড়াইটা শুরু হয়েছে। শেষ অবধি লড়ে নারীদের জন্য সঠিক স্থান তৈরি করতে চান শুভশ্রী যাতে ভবিষ্যতে কখনও আর এই বৈষম্য না থাকে।
দেব (Dev)-এর সাথে কাজ করতে আপত্তি নেই শুভশ্রীর। তিনি জানালেন, উপযুক্ত চরিত্র পেলে তাঁর বিপরীতে কে অভিনয় করল তা গুরুত্বপূর্ণ নয় শুভশ্রীর কাছে।
View this post on Instagram