আশি ও নব্বইয়ের দশকে প্রায় একরকম জোর করেই বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনয় করতে এসেছিলেন মুনমুন সেন (Moon Moon Sen)। শোনা যায়, সুচিত্রা সেন (Suchitra Sen) নিজে অভিনেত্রী হলেও মেয়ে অভিনেত্রী হোক তা চাননি। তবে শুধুমাত্র বাংলাই নয়, মুম্বইয়েও বেশ কয়েকটি ফিল্মে অভিনয় করেছিলেন মুনমুন। অসংখ্য অ্যাডে মডেলিং করেছিলেন তিনি। সুন্দরী হিসাবে মুনমুনের যথেষ্ট নামডাক ছিল। পাশাপাশি তিনি ছিলেন ফটোজেনিক। অপরদিকে আশি ও নব্বইয়ের দশকে বাংলা জুড়ে শুধুই প্রসেনজিৎ (Prasenjit Chatterjee), চিরঞ্জিৎ (Chiranjeet), তাপস পাল (Tapas Pal)-রা। আবির্ভাব হয়েছে অভিষেক (Abhishek Chatterjee)-রও।
তবে এঁদের মধ্যে চিরঞ্জিৎ কিন্তু প্রথমেই নায়ক হতে আসেননি। দূরদর্শনে সংবাদ পাঠ করতেন তিনি। কিন্তু ভাগ্য চিরঞ্জিৎকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল বাংলা সিনেমার নায়ক হিসাবে। একাধিক ফিল্মে অভিনয় করেছেন তিনি। ঋতুপর্ণ ঘোষ (Rituporno Ghosh)-এর পরিচালনায় ‘বাড়িওয়ালি’-তে অভিনয় করেছেন চিরঞ্জিৎ। মেনস্ট্রিম ফিল্মের পাশাপাশি অন্য ধারার ফিল্মেও তাঁর অভিনয় সকলের মন জয় করেছিল। একসময় ইন্ডাস্ট্রি থেকে সরে গেলেও সৃজিত মুখার্জী (Srijit Mukherjee) পরিচালিত ফিল্ম ‘চতুষ্কোণ’-এর মাধ্যমে আবারও দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেন তিনি।
View this post on Instagram
চিরঞ্জিৎ তাঁর সমসাময়িক নায়িকাদের সাথে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta) প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে চিরঞ্জিৎ জানিয়েছেন, সেই সময় প্রথম মোবাইল ফোন এসেছিল। ঋতুপর্ণাকে কোনো শট বোঝাতে গেলেই তিনি ফোন আসছে বলে উঠে যেতেন। বারবার এইরকম ঘটনা ঘটার পর বিরক্ত হয়ে মেকআপ রুমে গিয়ে বসেছিলেন চিরঞ্জিৎ। শেষ অবধি ঋতুপর্ণাই তাঁর কাছে গিয়ে অনেক অনুরোধ-উপরোধ করে আবার সেটে ফিরিয়ে আনেন।
তবে মুনমুনের সাথে চিরঞ্জিৎ-এর কাজের অভিজ্ঞতা মারাত্মক। ফিল্মে একটি দৃশ্যের শুটিং করতে গিয়ে চিরঞ্জিৎ-এর পা কামড়ে ধরে রক্ত বার করে দিয়েছিলেন মুনমুন। পরে অবশ্য তার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন তিনি।
View this post on Instagram