টলিউড ঘরানার ‘মেজো বউ’কে মনে আছে তো? থাকবে নাই বা কেন, তিনি টলিপাড়ার জনপ্রিয় মুখ। নাম চুমকি চৌধুরী। বাবা বিখ্যাত পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর পরিচালনায় ‘গীত সংগীত’, ‘ হীরক জয়ন্তী’, র মতো বেশ কয়েকটি সুপারহিট ছবি তিনি ও তাঁর বোন রিনা চৌধুরী সেকালে বাংলাকে উপহার দিয়েছিলেন। তবে অঞ্জন চৌধুরীর ছবি ছাড়া অন্য কোনো ছবিতে বেশিরভাগই তাঁদের দেখা যায়নি। চুমকির ভাষায়, “ভালোবাসা ভালোবাসা ছবির জন্য তরুণ জেঠু আমায় পছন্দ করেছিলেন। বাবা রাজি হননি।”
কিছুদিনের মধ্যে অভিনেত্রী চুমকি চৌধুরীকে দেখা যাবে ভিন্ন পরিচালকের ছবিতে। অবশ্য সেই ভিন্ন মানুষটি অন্য কেউ নন। বরং অভিনেত্রীরই নিজের বোন রিনা চৌধুরী। ছবির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অমর প্রেমকথা’। এখানে চুমকির বিপরীতে দেখা যাবে অভিনেতা রাহুল গোস্বামীকে। রিনার স্বামী তিনি। যথাসম্ভব ছবিটি জন্মান্তরের প্রেক্ষাপটে তৈরি হচ্ছে। চুমকির ভাষায়, “আমি কিছু আগেই অভিনয় করেছি বর্ষালি চট্টোপাধ্যায়ের ‘কুলপি’তে। সাথে রিনারই আরও একটি ছবি ‘ছায়াসূর্য’ও করা হয়ে গিয়েছে। ডাবিং চলছে।”
বোন রিনার প্রতি চুমকি খুবই স্নেহশীল। তাঁর ভাষায়, “অসাধারন অভিনয়ের বাঁধন, সাথে সংলাপে কাঁটার মতো বোল সবেতেই বাবার ছায়া পাওয়া যায় রিনির মধ্যে। বহুদিন পর ওর ছবিতে কাজ করে বাবার আভাস পাচ্ছি।” বলা বাহুল্য, অঞ্জন চৌধুরীর যুগের ছবিগুলি সবই প্রায় পারিবারিক ছিল। ধীরে ধীরে প্রেক্ষাপট পাল্টে তা বাণিজ্যিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরই মাঝে হারিয়ে গিয়েছেন রিনা ও চুমকির মতো অভিনেত্রীরা। এযুগের নায়িকাদের প্রতি তেমন মন না পড়লেও রঞ্জিত মল্লিকের মেয়ে কোয়েলকে চুমকির বেশ পছন্দ। তাঁর ভাষায়, “রঞ্জিত কাকু আর আমাদের যোগাযোগ বেশ দৃঢ়। কোয়েলের কাজ দেখে আমরা সবাই খুব খুশি, ও খুব ভালো মেয়ে।”
অন্য পরিচালকের সাথে কাজের প্রশ্নে চুমকি জানান, যেহেতু ওঁরা একটি ঘরানার কাজেই সীমাবদ্ধ ছিলেন অন্য ঘরানায় কাজে কতটা করতে সাফল্য পাবেন সে বিষয়ে পরিচালকরা দ্বিধায় ছিলেন। তাতে অবশ্য পরিচালকদের কোনও দোষ নেই। তাঁর ভাষায়, “আমি চেনা গন্ডির বাইরে সুযোগ পেলে ছাড়তে চাই না। এছাড়া কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়দের ছবি বেশ পছন্দের। সুযোগ পেলে কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে।” পুরোনো কথা উঠলে চুমকি জানান, “বাবার চলে যাওয়ার পর ১০ বছর কাজে ছিলাম না। মনে হত, বাবাকে ছাড়া স্টুডিও পাড়া আমার জন্য নয়। তবে আবার নতুন করে শুরু করছি। কারণ বুঝি, বাবা আছেন পাশে।”