Hoop PlusTollywood

Abhishek-Chumki: মৃত্যুর আগে শেষ কবে দেখা হয়েছিল! মুখ খুললেন অভিষেকের নায়িকা চুমকি চৌধুরী

অভিষেক চ্যাটার্জী (Abhishek Chatterjee) চলে গিয়েছেন প্রায় এক সপ্তাহ হতে চলল। কিন্তু তবু বারবার প্রত্যেকের স্মৃতিকথায় ফিরে ফিরে আসছেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনকে স্পটলাইটে আনার বিরোধী ছিলেন অভিষেক। তবে রক্ষণশীল ছিলেন না। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ চুমকি চৌধুরী (Chumki Chowdhury)।

চুমকি জানালেন, অভিষেকের সঙ্গে তাঁদের পারিবারিক সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিল। তাঁর বাবা পরিচালক ও প্রযোজক অঞ্জন চৌধুরী (Anjan Chowdhury)-র প্রিয় পাত্র ছিলেন অভিষেক। চুমকি ও রীনা (Reena)-র কাছে তিনি ছিলেন বড় দাদার মতো। চুমকির এখনও মনে হচ্ছে, মাত্র ছয় মাস আগেই তিনজন একসঙ্গে চন্দননগরে একটি ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পে গিয়েছিলেন। ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্প শেষ হওয়ার পর আয়োজকরা তাঁদের পিতলের হাঁড়ি উপহার দিয়েছিলেন। অভিষেক তো অত্যন্ত খুশি পিতলের হাঁড়ি পেয়ে। তিনি তো বলেই ফেলেছিলেন, এই পিতলের হাঁড়িগুলির জন্যই এখানে আসেন তিনি। চুমকিরা বারণ করেছিলেন বেশি মিষ্টি খেতে। অভিষেক বলেছিলেন, মোটা হয়ে গেলে বাবা, কাকার চরিত্র পাবেন। এখন শুধু তিনি মেয়ের জন্য বাঁচতে চান।

একমাত্র মেয়ে ডল (Doll)-এর ঘর রেনোভেট করাচ্ছিলেন অভিষেক। মেয়ে অন্ত প্রাণ ছিলেন মানুষটি। মৃত্যুর আগের মুহূর্তে কথা জড়িয়ে গিয়েছিল। তাঁর স্ত্রী সংযুক্তা (Sanjukta Chatterjee) ফোন করছেন অ্যাম্বুল্যান্সকে। কিন্তু অভিষেক বোধহয় বুঝতে পেরেছিলেন, হাতে সময় নেই। তাই চিরনিদ্রায় যাওয়ার আগে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ডল কেমন আছে!

ফুড পয়জনিং থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছিল। বারবার বমি হওয়ার ফলে নেমে গিয়েছিল রক্তচাপ। সকলের অনুরোধ সত্ত্বেও হাসপাতালে যেতে চাননি অভিষেক। নিজের জেদ বজায় রেখে চলে গিয়েছেন অভিষেক। তাঁর আদরের মেয়ে ডল একাই সামলাচ্ছে তার মাকে।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Khas Khobor (@khaskhobor2020)

Related Articles