একেবারে সাফল্যের দোরগোড়ায় করোনার ভ্যাকসিন, তৃতীয় ধাপেও সফল ৯০ শতাংশ
করোনা এই নামটি এখন মানুষের কাছে আতঙ্ক। দিনের পর দিন এর কড়ালগ্রাসে মৃত্যু হচ্ছে বহু মানুষের। সোশ্যাল ডিসেন্টসিং,মাস্ক,আর স্যানিটাইজার এখন নিত্যদিনের সাথী। তাই করোনা থেকে বাঁচতে গোটা বিশ্ব ভ্যাকসিনের দিকে মুখিয়ে বসে আছেন গোটা বিশ্ব। প্রতিটি দেশের বিজ্ঞানীর দিন রাত এক করে ভ্যাজসিনের তৈরীর কাজে ব্যস্ত। ভ্যাকসিন তৈরীএ প্রতিযোগিতা তুঙ্গে। কোন দেশ আগে বিশ্ববাসীর মুখে হাসি ফোটাতে পারবে। এর মাঝেই এল এক বিরাট সুখবর।
কি সুখবর দেখে নেওয়া যাক। আমেরিকা ভ্যাকসিন তৈরীর কাজে অনেকটাই এগিয়ে। এই ভ্যাকসিনের নাম Pfizer, BioNTech! মার্কিন বৃহৎ ওষুধ নির্মাতা সংস্থা ফাইজার ও জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেকের যৌথ প্রয়াসে তৈরি ভ্যাকসিনের তৃতীয় দফার ট্রায়াল ইতমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। আর সেটি ট্রায়ালের মাঝে এখন করোনা প্রতিরোধে ৯০ শতাংশ কার্যকর হয়েছে। গত সোমবার দুটি সংস্থার তরফে এই কথা ঘোষণা করা হয়। চিকিৎসকরা আরো জানিয়েছেন, প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে অনুযায়ীএই ভ্যাক্সিনের দুটি ডোজ করা হয়েছে যার প্রথমটি প্রয়োগের ২৮দিন বাদে ও দ্বিতীয় ডোজ সাতদিন বাদে কোভিড-১৯ সংক্রমিত রোগীর দেহে প্রতিরোধী সুরক্ষা তৈরি হয়েছে।
মার্কিন এই দুটি সংস্থা বলেছেন, আগে থেকে যাদের করোনার লক্ষণ ও প্রমাণ দেখা যায়নি, এমন মানুষের ক্ষেত্রে কোভিড প্রতিরোধে ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকর তাদের তৈরি এই ভ্যাকসিন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোগীর ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশ কার্যকর হলেই তবেই এই ভ্যাকসিন ব্যবহারযোগ্য হবে।
বিশেষজ্ঞরা আরো বলেছেন, এই বিষের সাথে লড়াই প্রায় শেষের দিকে। যে ভাবে প্রস্তুতি চলছে তাতে ভ্যাকসিন আসতে আর খুব বেশি সময় লাগবে না বলেই মনে করছেন সকলে৷ আর টীকা পুরোপুরি তৈরি হলেই সংস্থার পক্ষ থেকে ৫ কোটি ডোজ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছে ছড়িয়ে দেওয়া হবে ৷ ২০২০ ডিসেম্বরে শেষেই হবে বলে আশা করছেন এই সংস্থ আশা৷ ডিসেম্বর যদি হয় তাহলে ২০২১এর মধ্যে প্রথম দিকেঈ ১৩০ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছেন ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক।