Cyclone Update: শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হয়েই আছড়ে পড়বে ‘মোচা’, কোন কোন জায়গায় প্রবল ক্ষয়ক্ষতি!
বৈশাখের শুরুতেই তীব্র দহনজ্বালা ভোগ করতে হয়েছিল বঙ্গবাসীকে। জেলায় জেলায় শুরু হয়েছিল ভয়ঙ্কর তাপপ্রবাহ। ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছিল রাজ্যের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। তবে দ্বিতীয় সপ্তাহেই কমেছিল সেই ভোগান্তি। প্রবল গরমের হাত থেকে রাজ্যের বাসিন্দাদের মুক্তি দিয়েছিল ঘন কালো মেঘ। সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিতে ভিজেছিল আপামর বাংলা। সঙ্গে কালবৈশাখীর রূপে ঝোড়ো হাওয়ার প্রভাব ছিল রাজ্যজুড়ে। কিন্তু কালবৈশাখী আর কতদিন চলবে? স্বস্তির মাঝেই অস্বস্তির খবর শোনাল হাওয়া অফিস।
এর মাঝেই ক্যালেন্ডারে এসে হাজির সেই ‘মে’ মাস। উপকূলীয় এলাকায় মানুষজন এই মাসটিকে ‘অভিশপ্ত মে’ মাস বলেও দাবি করেন। কারণ এই বিশেষ মাসেই বিগত সময়ে একাধিক দুর্যোগের মুখোমুখি হয়েছিল রাজ্যবাসী। আয়লা থেকে লায়লা, ফনি, জাওয়াদ, আমফান প্রভৃতি সুপার-সাইক্লোন এই মাসেই আঘাত হেনেছিল রাজ্যের উপর। এবছরও সমুদ্রে দানা বাঁধছে দানবসম ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’। কিন্তু এর প্রভাব কি পড়বে বাংলায়? এই প্রতিবেদনে দেখুন বিস্তারিত।
■ কলকাতার আবহাওয়া: গত কয়েকদিন ধরেই হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছিল যে সপ্তাহের শেষদিন ফের তাপমাত্রা বাড়বে শহর কলকাতায়। আজ শহর কলকাতার তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি ও ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ঘোরাফেরা করবে। শহরে আজ বৃষ্টির তেমন একটা সম্ভাবনা নেই। তবে দিনভর আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি অনুভূত হবে শহরে।
■ দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া: শনিবার দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই কমবে। পশ্চিমের ও উপকূলের জেলাগুলি ছাড়া বাকি কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আগামী বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের কোথাও কোনও বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই। আগামী কয়েকদিন ৩-৪ ডিগ্রি বাডড়তে পারে তাপমাত্রা। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমের একাধিক জায়গায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে।তবে তাপপ্রবাহের সতর্কতা এখনই নেই।
■ উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া: দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি না হলেও উত্তরবঙ্গের প্রতিটি জেলাতেই বিকাল থেকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। সঙ্গে বইতে পারে ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার সহ উত্তরের পাঁচ জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে।
■ ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ: আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফে এখনো ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’র কোনো আপডেট দেওয়া হয়নি। তবে আন্তর্জাতিক মডেল অনুসারে, প্রাথমিকভাবে উত্তরমুখী হয়ে এই ঘূর্ণিঝড় মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোতে পারে। ১০ থেকে ১১ মে এটি গতিপথ পরিবর্তন করবে। উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে এর অভিমুখ হয়ে এটি আরও শক্তিশালীঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়ে দক্ষিণ পূর্ব বাংলাদেশ অথবা মায়ানমার উপকূলে ল্যান্ডফল হতে পারে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের।