আমফানের ভয়ঙ্কর স্মৃতি উসকে দিচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’, এর মানে কি? কোন দেশ এই নামকরণ করল, জানেন?
গত বেশ কয়েকদিন ধরে যেমন অতিরিক্ত তাপপ্রবাহে মানুষের পাগল পাগল পরিস্থিতি ঠিক, তেমনি আবারও শোনা যাচ্ছে, একটি ঘূর্ণিঝড় নাকি আছড়ে পড়তে পারে, বাংলায় সেটা শুনেও তো মানুষ রীতি মতন ফিরে আসছে, সেই আয়লা, আমফান, ফনির সেই ভয়ংকর স্মৃতি এখনো কাছে ভুলতে পারেনি মানুষ, তবে কি আবারও বাংলায় ধেয়ে আসতে পারে, তার চেয়েও বেশি ভয়ংকর ঝড়?১৫ পনেরো বছর আগে মে মাসে আয়লা, বাংলাকে একেবারে তছনছ করে দিয়েছিল। তারপরে কিন্তু উড়িষ্যার অন্দরে তছনছ করে দিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় ফণী, তারপরেই আমফান, ইয়াস এর ধাক্কায় তছনছ হয়ে বাংলা থেকে পার্শ্ববর্তী অঞ্চল।
আবারো ঝড় নিয়ে রীতি মতন জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে, বাংলায়। বাংলায় কি আবারও আছড়ে পড়তে পারে, ঘূর্ণিঝড়? তবে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আন্দামান সাগর দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর থেকে ক্রমশ উত্তর থেকে উত্তর পূর্ব দিকে অভিমুখে এগোতে পারে নিম্নচাপ। অভিমুখ এগোলে কে তা কোনোভাবে কি বাংলায় আসতে পারে? এদিক থেকে আবহাওয়াবিদরা বেশ একটা শান্তির কথা শুনিয়েছেন। তারা বলেছেন, যে বাংলার গায়ে এই ঘূর্ণিঝড়ের আঁচ কোন ভাবেই লাগবে না।
পঁচিশে মে সন্ধ্যার পর থেকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ অঞ্চলে প্রবেশ করা শুরু করতে পারে তবে ঝড়টি খুব বেশি ক্ষয় ক্ষতি করবে না স্থলভাগে এমনটাই বলা যাচ্ছে। ঝড়টা ঠিক কতটা শক্তিশালী হবে সেটা সম্পর্কে এখনো কিছু খবর জানা যায়নি, আদৌ কি এই ঝড়ের দাপটে পশ্চিমবঙ্গ আবার ক্ষতির সম্মুখীন হবে এই প্রশ্ন কিন্তু এখনো অধরাই থেকে গেছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই নতুন ঘূর্ণিঝড় মে মাসের শেষে পশ্চিমবঙ্গ আর বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়বে। আপনি কি জানেন যে রিমাল ঝড়ের আসার কথা সে রে মাল নামকরণ করেছে ঠিক কোন দেশ? রেমাল নামকরণ করেছে ওমান, আর এই শব্দের অর্থ হল বালি। তবে আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন যে এই ঝড় ভারতবর্ষের দিকে আসার সম্ভাবনা খুবই কম, মায়ানমারের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে।