Cyclone Update: ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল হতেই দুর্যোগ শুরু দক্ষিণবঙ্গে, ভরা শীতেও ৬ জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস
ডিসেম্বর শুরু হলেও সেভাবে শীতের প্রভাব দেখা যায়নি বাংলায়। কারণ কয়েকদিন আগেই ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে শীতের আগমন কিছুটা ব্যাহত হয়। তারপর শীতের স্পেল আবার শুরু হলেও, তা ব্যাহত হচ্ছে চলতি সপ্তাহে। তার কারণ হল আরেক ঘূর্ণাবর্ত। দক্ষিণ থাইল্যান্ড সাগরে তৈরি ঘূর্ণাবর্ত আজ ইতিমধ্যে বুকে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এরপর সেটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে ক্রমে অন্ধ্র উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণাবর্ত ক্রমেই উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং আজ সন্ধ্যার দিকে চেন্নাই এবং মাছিলিপত্তনমের মধ্যে দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পার্শ্ববর্তী উত্তর তামিলনাড়ু উপকূল অতিক্রম করে ল্যান্ডফল করতে পারে। এর পরোক্ষ প্রভাব পড়বে রাজ্যেও। যেভাবে শীতের প্রভাব কমবে, সেভাবেই বৃষ্টির দেখা মিলতে পারে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায়। এখন একনজরে দেখে নিন আজ কেমন থাকবে রাজ্যের আবহাওয়া।
■ কলকাতার আবহাওয়া: আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী আজ কলকাতায় বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস নেই। তবে আজ শহরের আকাশ আংশিক মেঘলা ও আংশিক পরিষ্কার থাকবে। আজ কলকাতার বুকে সর্বোচ্চ ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা অনুভূত হবে। মেঘলা আকাশ থাকার কারণে ঠান্ডা কিছুটা কম অনুভূত হবে শহরে।
■ দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া: আজ দক্ষিণবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলায় বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস নেই। তবে আজ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় তাপমাত্রার পতন ব্যাহত থাকবে বলেই জানা গেছে। তবে আগামীকাল থেকে বৃহস্পতিবার অবধি পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং কলকাতা-সহ সংলগ্ন জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।
■ উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া: আজ উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা জেলায় বৃষ্টি কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে সপ্তাহান্তে দার্জিলিং, কালিম্পঙে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস। আগামী ৩-৪ দিনে উত্তরবঙ্গে তাপমাত্রা প্রায় একই রকম থাকবে। তাই শীতের প্রভাব দেখতে আরো দুদিন অপেক্ষা করতে হবে উত্তরবঙ্গবাসীকে।