whatsapp channel

‘মাদুরওয়ালা’র ছেলে হিসেবে নয়, নিজের পরিচয়ে বাবাকে সম্মান দিতে চায় নৃত্যশিল্পী শুকদেব

জীবন অতিবাহিত করার জন্য, সংসারকে টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য, সংসারের প্রত্যেকের মুখে দু'মুঠো ভাত দুবেলা তুলে ধরার জন্য বাবাকে বেছে নিতে হয়েছে মাদুর বিক্রির কাজকে। তবে সেই পিতার ছোট্ট ছেলে…

Avatar

HoopHaap Digital Media

জীবন অতিবাহিত করার জন্য, সংসারকে টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য, সংসারের প্রত্যেকের মুখে দু’মুঠো ভাত দুবেলা তুলে ধরার জন্য বাবাকে বেছে নিতে হয়েছে মাদুর বিক্রির কাজকে। তবে সেই পিতার ছোট্ট ছেলে শুকদেব কিন্তু বাবার এই জীবিকাকে যথেষ্ট সম্মান করেই বাবার পাশে দাঁড়ানোর জন্য নৃত্য শিল্পী হতে চায়। তার বাবাকে যখন সবাই নাম না ধরে ডেকে শুধুমাত্র জীবিকা হিসাবে মাদুর ওয়ালা বলে ডাকে তখন সেই বাবার হারানো সম্মানকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ১১ বছরের ছোট্ট শুকদেব তার শরীরী ভাষা দিয়েই প্রতিবাদ করতে চায়।

সোশ্যাল মিডিয়া টেলিভশন হলো এই সমস্ত প্রতিবাদ এর ওপরে ওঠার জন্য এক অসাধারণ সিঁড়ি। যার ওপরে ভরসা করে একধাপ একধাপ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়। ‘স্টার জলসায়’ অনুষ্ঠিত ‘ডান্স ডান্স জুনিয়র সিজন ২’ অনুষ্ঠানটিতে পারফরম্যান্সের সুযোগ পেয়েছে শুকদেব।

উত্তর ২৪ পরগনার গুমার বাসিন্দা ছোট্ট শুকদেব তার পিতাকে ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছে সংসারের হাল ধরতে মাদুর তৈরি করে বিক্রি করেন তার পিতা। ভালো পোশাক-আশাক কোনদিনই জোটেনি তার। সেই জন্য আত্মীয়-স্বজনের অনুষ্ঠান বাড়িতেও সে কখনো যেতে পারত না। বাবাকে যাতে সমাজের চোখে তার সম্মান ফিরিয়ে দিতে পারে সেই জন্যই সে এক বড় নৃত্যশিল্পী হতে চায়।

তবে শুধু শুকদেব নয়, এগারো বছরের সৌম্যজিৎ চায় বড় হয়ে নৃত্যশিল্পী হতে। বাঁকুড়ার এক প্রত্যন্ত গ্রামে তার বাড়ি হওয়ার জন্য কলকাতা কাকে বলে তার দেখার সুযোগ হয়নি। তবে স্টার জলসার এই অনুষ্ঠানের দৌলতে তার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের দৌলতে অনেক গুণী মানুষের সান্নিধ্য পেয়েছেন এখানকার খুদে শিল্পীরা। সবমিলিয়ে অনুষ্ঠান জমজমাট হতে চলেছে।

whatsapp logo
Avatar
HoopHaap Digital Media