নব্বইয়ের দশকের আগের বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির প্রসঙ্গ উঠলে যে চারজন অভিনেতার কথা সর্বপ্রথমে উঠে আসবে তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী (Chiranjit Chakraborty)। এক সময় ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তিনি। মূলধারার বাণিজ্যিক ছবির জনপ্রিয় নায়ক ছিলেন চিরঞ্জিত। বর্তমানে অবশ্য নিজের ছবির ধরণ অনেকটা বদলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে সিনেমার সংখ্যাও কমেছে তাঁর। তবে এখনো মাঝে মাঝেই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসেন তিনি। স্পষ্টবাদী বলে যথেষ্ট নাম রয়েছে চিরঞ্জিতের।
এর আগে একাধিক বার নিজের সহ অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে চিরঞ্জিতকে। এবার তিনি মুখ খুললেন বর্তমান প্রজন্মের অভিনেতা দেব, জিৎ, আবির চট্টোপাধ্যায়দের নিয়ে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এখন আর স্টার তৈরি হয় না, এখন আমরা স্টার ভাঙি’। নিজের বক্তব্যকে বিশ্লেষণ করে তিনি বলেন, মহাকাব্যের যুগ চলে গিয়েছে। মহাকাব্য যেমন আর হবে না, তেমনি মহানায়কও আর হবে না।
চিরঞ্জিত বলেন, এখন সবাইকে অভিনেতা বানানোর উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। স্টারদের আলাদা ‘ম্যানারিজম’ রয়েছে। চুলের বিশেষ ছাঁট, সানগ্লাস পরার স্টাইল, সিগারেট ধরানোর স্টাইল বা কপালে ফেট্টি বাঁধা, এই ম্যানারিজম গুলি তৈরি করে স্টার হত।। কিন্তু বর্তমানে ঋত্বিক চক্রবর্তী বা আবির চট্টোপাধ্যায় কেউই আর এসব করেন না। এজন্য এখন সংলাপও হিট হয় না। চিরঞ্জিত বলেন, এগুলি আগে তিনি এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এগুলি করতেন। এখন আর কেউ করে না।
চিরঞ্জিতের কথায়, স্টারের যুগ শেষ হয়ে গিয়েছে। দেব এবং জিৎ ওই ইউনিভার্সিটির শেষ স্টুডেন্ট ছিলেন। তারপর তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ইন্ডাস্ট্রি বাঁচাতে গেলে স্টার দরকার হয়। শুধুমাত্র কনটেন্টে ইন্ডাস্ট্রি বাঁচে না। তিনি আরো বলেন, স্টার দর্শককে নামে টেনে আনে। এরপরেই বিষ্ফোরক মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বাংলা ইন্ডাস্ট্রি এমনিই মারা গিয়েছে। ছবির সংখ্যা কমে গিয়েছে। এখন সৃজিত আর একজন দুজন ছবি করেন। বাকিরা কেউ করছে না, পারছেও নানা’।