আজ ৮ ই জানুয়ারি, আজ সুপ্রিয়া দেবী, নুসরত জাহান ছাড়াও আরো এক বিশেষ মানুষের জন্মদিন। তিনি হলেন এক ভারতীয় বাঙালি চিত্রপরিচালক, নাম – তরুণ মজুমদার। বাংলাদেশের এই বিশেষ মানুষটি তার কাজের মধ্যে দিয়ে সংগ্রহ করেছেন চারটি জাতীয় পুরস্কার, সাতটি বি.এফ.জে.এ. সম্মান, পাঁচটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার ও একটি আনন্দলোক পুরস্কার। এমনকি, ১৯৯০ সালে তিনি পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন।
‘দাদার কীর্তি’ যদি দেখে থাকেন তবে তরুণ মজুমদারের ছবি সম্পর্কে জ্ঞান থাকবে। এই দাদার কীর্তি ছাড়াও তরুণ মজুমদারের হাত ধরে মুক্তি পেয়েছে ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘কুহেলী’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’, ‘গণ দেবতা’ সহ আরো বহু ছবি।
তরুণ মজুমদারের জন্মদিনের এই বিশেষ দিনে কলম ধরেছেন দেবশ্রী রায়। দেবশ্রী নিজেই তরুণ মজুমদারের ‘কুহেলি’ দিয়ে কাজ শুরু করেন। এরপর হিন্দিতে ‘বালিকা বধূ’। এরপরেই ডাক আসে ‘দাদার কীর্তি’ ছবির জন্য।
নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে মজার মজার কথা বলেন দেবশ্রী। তার কলমে উঠে এসেছে, “প্রথম ছবি ‘কুহেলি’র সেটে। একটা কান্নার দৃশ্য ছিল। কিছুতেই কাঁদছিলাম না সেখানে। চোখে গ্লিসারিনও দিতে দিচ্ছিলাম না। পরে শুনেছি, ক্যামেরাম্যান সৌম্যেন্দুদাকে ক্যামেরা তৈরি রাখতে বলে তনুদা আমায় প্রচণ্ড বকেছিলেন। আচমকা সেই রাগ দেখে, ধমকের চোটে প্রথমে আমি থতমত খেয়ে গিয়েছিলাম। তার পরেই ঝরঝরিয়ে কাঁদছি! আর ক্যামেরা চলছে। শট শেষ। কিন্তু আমায় আর থামানোই যাচ্ছে না। ক্যাডবেরি, চকোলেট দিয়েও না।” সেদিন ছোট্ট দেবশ্রী কাঁদতে কাঁদতে এও বলেন তরুণ মজুমদারের উদ্দেশ্যে,”আমায় এ ভাবে করলে তো! পাড়ায় এস এক বার। আমার হাতে অনেক গুন্ডা আছে। তাদের দিয়ে তোমায় মার খাওয়াব।” শুনে সবার সে কী হাসি। অনেক দিন পর্যন্ত তনুদাও এই নিয়ে আমায় কম খেপিয়েছেন নাকি! খালি বলতেন, “দেবশ্রী আর এক বার বল! তুই যেন আমায় কী করবি বলেছিলি? গুন্ডা দিয়ে মার খাওয়াবি!”