whatsapp channel

Deepika Goyal: মাইনে দিতে না পারায় স্কুল ছাড়তে হয়েছিল: দীপিকা

তারকাদের দেখে কখনও আন্দাজ করা যায় না, যাঁরা সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছেন, তাঁদের অধিকাংশের রাস্তা মসৃণ ছিল না। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ‘দিয়া অউর বাতি হাম’ খ্যাত তারকা দীপিকা সিং…

Avatar

Advertisements
Advertisements

তারকাদের দেখে কখনও আন্দাজ করা যায় না, যাঁরা সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছেন, তাঁদের অধিকাংশের রাস্তা মসৃণ ছিল না। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ‘দিয়া অউর বাতি হাম’ খ্যাত তারকা দীপিকা সিং (Deepika Singh Goyal)। এই জনপ্রিয় সিরিয়ালের মাধ্যমে সর্বাধিক পরিচিতি লাভ করেছিলেন দীপিকা। কিন্তু অত্যন্ত সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছেন তিনি। অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে একবার স্কুল ছেড়ে দেওয়ার মতো সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন দীপিকা।

Advertisements

দিল্লির মেয়ে দীপিকা বড় হয়ে উঠেছেন যৌথ পরিবারে। আর্থিক টানাটানি সংসারে লেগে থাকত। পাহাড়গঞ্জে তাঁদের বাড়ি অবধি আসত না স্কুল বাস। ফলে স্কুলের পর তাঁকে তাঁর বাবার কারখানায় যেতে হত। ক্লাস এইট পর্যন্ত এয়ারফোর্সের স্কুলে পড়তেন দীপিকা। আর্থিক সমস্যার কারণে সেই স্কুলের ফি দিতে না পারলেও দীপিকার বাবা চেয়েছিলেন, তাঁর মেয়ে যেন স্কুল না ছাড়ে। কিন্তু একদিন স্কুলের প্রিন্সিপাল দীপিকাকে বলেছিলেন, তাঁর যদি স্কুলের ফি দেওয়ার ক্ষমতা না থাকে, তাহলে এত বড় স্কুলে এসেছেন কেন! অপমানিত হয়েছিলেন দীপিকা। এমনকি একদিন দীপিকা ও তাঁর তিন ভাইবোনকে স্কুল থেকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। স্কুল ব্যাগ জমা রাখা হয়েছিল স্কুলে। কারণ তাঁদের পরিবার ঠিক সময়ে স্কুল বাসের ভাড়া দিতে পারেননি।

Advertisements

Advertisements

অপমানিত হওয়ার পর দীপিকা নিজেই তাঁর মার্কশিট নিয়ে সরকারী স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছে গিয়েছিলেন। তাঁর রেজাল্ট দেখে প্রিন্সিপাল ভর্তি নিয়েছিলেন স্কুলে। জীবন দীপিকাকে শিখিয়েছিল, তাঁকে উচ্চতায় উঠতে হবে যাতে একসময় তাঁকে যে স্কুল ছাড়তে হয়েছিল, তাদের অনুশোচনা হয়। জীবনের অভিজ্ঞতা দীপিকাকে শক্তিশালী করে তুলেছে। তাঁর বাবার এমব্রয়ডারির কারখানা ছিল। একবার মুম্বই থেকে আমেরিকা পাঠানো হয়েছিল শিপমেন্ট। কিন্তু সেই সময় চারিদিকে প্লেগ ছড়িয়ে গিয়েছিল। ফলে সব পার্সেল জীবাণুর ভয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হয়েছিল। এর ফলে দীপিকার বাবার ব্যবসায় বিরাট ক্ষতি হয়ে গিয়েছিল এই ঘটনায় সর্বস্বান্ত হয়ে যান দীপিকার বাবা। দেনা হয়ে যায় তাঁর। কিন্তু তারপরেও কোনোরকমে দু-তিন বছর চালিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন দীপিকার বাবা।

Advertisements

কিন্তু একটি দূর্ঘটনার ফলে টানা এক বছর শয্যাশায়ী ছিলেন দীপিকার বাবা। যৌথ পরিবারে অভাব সেভাবে বুঝতে না পারলেও দীপিকার স্কুলের মাইনে নিয়ে সমস্যা হত। 2014 সালে পরিচালক রোহিত রাজ গোয়েল (Rohit Raj Goel)-কে বিয়ে করেন দীপিকা। 2017 সালে তাঁদের পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। সম্প্রতি তুষার পান্ডে (Tushar Pandey)-র বিপরীতে বলিউডে ডেবিউ করেছেন দীপিকা। এই ফিল্মের চিত্রনাট্যকার তাঁর স্বামী রোহিত।

whatsapp logo
Advertisements