প্রথমে টলিউড কাঁপানো নায়িকা, তারপর সফল সঞ্চালিকা, আর এখন নব নির্বাচিত সাংসদ, একের পর এক সাফল্য পেয়ে চলেছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachna Banerjee)। লোকসভা নির্বাচনের আগেই প্রথম বার রাজনীতিতে নাম লেখান তিনি। রাজনীতিতে একেবারে আনকোরা রচনাকে প্রথম বারেই হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের মতো হেভিওয়েট কেন্দ্রের দায়িত্ব দিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু নবাগত হয়েও বিপরীতে পোড়খাওয়া সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে হুগলি কেন্দ্র ছিনিয়ে নেন রচনা। রাজনীতিতেও দিদি নাম্বার ওয়ান এর তকমা জুড়ল তাঁর নামের সঙ্গে।
কী বলছেন রচনার স্বামী?
রচনার জয়ে যারা সবথেকে খুশি হয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন তাঁর স্বামী প্রবাল বসু। একসঙ্গে না থাকলেও রচনা রাজনীতিতে পা রাখতেই তাঁর পাশে পাশে থেকেছেন তিনি। নির্বাচনী প্রচারেও দেখা গিয়েছিল প্রবাল বসুকে। আর এবার রচনার জয় নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। সংবাদ মাধ্যমকে প্রবাল বসু বলেন, খুবই ভালো লাগছে তাঁর। এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। তাঁর কথায়, ‘রচনা আসলে এমনই। যা ছোঁয় সেটাই সোনা হয়ে যায়। যেখানে হাত দিয়েছে সেখানেই সাফল্য পেয়েছে’।
রচনা যে জিতবেন এ আঁচ নাকি আগেই পেয়েছিলেন। স্ত্রীর ছবি দেওয়া জামা পরে প্রচারে বেরোতে দেখা গিয়েছিল প্রবাল বসুকে। মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার দিন বা ভোট গণনার দিনও রচনার পাশে থেকেছেন তিনি। প্রবাল বসু বলেন, গর্বে তাঁর বুক ফুলে যাচ্ছে। তিনি সত্যিই একজন গর্বিত স্বামী।
স্বামীর থেকে আলাদা থাকেন রচনা
দ্বিতীয় বার প্রবাল বসুকে বিয়ে করেছিলেন রচনা। জন্ম হয় তাঁদের একমাত্র সন্তান প্রণীল ওরফে রৌণকের। কিন্তু সংসার টিকিয়ে রাখতে পারেননি অভিনেত্রী। দীর্ঘদিন ধরেই আলাদা থাকেন তাঁরা। ছেলে রৌণক থাকে রচনার সঙ্গে। যদিও স্বামীর সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদ হয়নি রচনার। ছেলের জন্য এখনো মাঝে মাঝেই একসঙ্গে সময় কাটান তাঁরা। এমনকি রৌণককে পরীক্ষার আগে পড়াও দেখাতে আসেন প্রবাল। রাজনীতিতে রচনার নয়া ইনিংসের হাত ধরে কি আবারও মিলিত হবেন তাঁরা? উত্তর দেবে সময়।