‘জুটি’ শব্দটা শুনলেই মনে হয় এরা একই সঙ্গে থাকবে, গাইবে, নাচবে, রাগ করবে, রোম্যান্স করবে। পর্দায় যখন আমরা জুটিদের অভিনয় উপভোগ করি তখন মনে হয় এরা বুঝি রিয়েল লাইফেও এই ভাবেই থাকে। কিন্তু, না। রিয়েল আর রিলের মধ্যে যে আকাশ পাতাল ফারাক আছে তা কাজল ও শাহরুখকে দেখলেই বোঝা যায়।
পর্দায় বরাবরের জন্য হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন এই জুটি। শুরুটা হয়েছিল ‘বাজিগর’ দিয়ে। দুজনের দেখা হয় শ্যুটিং এর সেটে। নাহ, কোনো মঞ্চে বা অনুষ্ঠানে দেখা হয়নি এদের। কিন্তু, দেখা হওয়ার পর আলাপচারিতা মোটেই মধুর ছিল না।
দুজনেই দুজনকে রীতিমত অপছন্দ করতেন। প্রথম আলাপে দু’জনের দু’জনকে মোটেও ভালো লাগেনি! একে অপরের বিরুদ্ধে নালিশও ঠুকেছিলেন তাঁরা। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সে কথা নিজ মুখে স্বীকার করেন শাহরুখ-কাজল জুটি।
“বড়ে বড়ে দেশো ম্যায় অ্যায়সি ছোটি ছোটি বাতে হোতি রেহেতি হ্যায়, সেনোরিটা।” শাহরুখের এই ডায়লগ আজও লোকের মুখে মুখে। সত্যি, প্রথম আলাপের অমন নেতিবাচক ঘটনা ছোট্ট ব্যাপার। চলছে বাজিগর এর শ্যুটিং। দুজনেই উপস্থিত শ্যুটিং স্থলে। প্রধান ক্যামেরাম্যান আসেননি। এদিকে কিং খান মন দিয়ে স্ক্রিপ্ট মুখস্থ করছেন, অন্যদিকে কাজল জোর গলায় আড্ডা মেরেই চলছে । এদিকে শাহরুখ কিছুতেই মন দিয়ে স্ক্রিপ্ট মুখস্থ করতে পারছেন না। সেদিন শাহরুখ রাগ করে বলেই বসেন, ‘এ কেমন ধরণের অভিনেত্রী যে একটু চুপচাপ পর্যন্ত থাকতে পারে না!’
শাহরুখের পাশাপাশি কাজলের একদম পছন্দ হয়নি তাকে। প্রথমদিন সেটে এসে শাহরুখের সঙ্গে আলাপ করতে চান তিনি। কিন্তু, শাহরুখ কারোর সঙ্গে কথা না বলে একমনে ছবির চিত্রনাট্য পড়ে চলেছেন । আলাপ করতে গেলেও খুব গম্ভীরভাবে একটা-দুটোর বেশি কথা পর্যন্ত বলেননি। ব্যাস, শাহরুখকে ‘নাকউঁচু’ বলে মনে হয়েছিল কাজলের। এমনকি শাহরুখ যে তাঁর গলার আওয়াজকে ময়ূরের কর্কশ স্বরের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন সেকথা তাঁর আজও মনে আছে বলে হাসতে হাসতে ওই সাক্ষাৎকারে বলেন কাজল। দেখুন ভিডিও।
View this post on Instagram