whatsapp channel

মোবাইলের নেশা চরম সর্বনাশ ডেকে আনল অভিনেত্রী শুভশ্রীর জীবনে, তুমুল ভাইরাল ভিডিও

মোবাইল ফোন আগে ও ছিল এখনো আছে। কিন্তু এর মধ্যে এসেছে বিপুল পরিবর্তন। কি পরিবর্তন এলো। এখন পুরোটাই ডিজিটাইলেশন। আগে ইন্টারনেটের এত রমরমা ছিল না। আজকাল শিশুরা বাইরে ক্রিকেট,ফুটবল খেলতে…

Avatar

HoopHaap Digital Media

মোবাইল ফোন আগে ও ছিল এখনো আছে। কিন্তু এর মধ্যে এসেছে বিপুল পরিবর্তন। কি পরিবর্তন এলো। এখন পুরোটাই ডিজিটাইলেশন। আগে ইন্টারনেটের এত রমরমা ছিল না। আজকাল শিশুরা বাইরে ক্রিকেট,ফুটবল খেলতে যায়না কিন্তু এরা খেলে সবই। মাঠে না খেলে কোথায় খেলে? আসলে ওরা ফোনের স্ক্রিনে খেলাধূলা করেন। আজকাল বাচ্চারাও পড়াশোনাটাও করে ডিজিটাল ওয়েতে। একটা সময় ছিল যখন ক্লাস ১২ পাসের পর ফোন পেত কিন্তু এখন ৩ বছরের শিশুর কান্না থামাতে হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় স্মার্টফোন। আর তাতেই বাচ্চার কান্না থেমে যায়। এটা তাহলে কার দোষ বাবা মায়ের নাকি সন্তানের?

মোবাইল আর এখন শুধু কথা বলার জন্য নয়, বিনোদনের মূল মাধ্যম হয়ে উঠেছে সকলের জন্য। এখন প্রতিযোগিতার যুগ। এখন এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সবাই দৌড়াচ্ছে। তাই সর্বক্ষণ হাতে মোবাইল, কানে গোঁজা হেডফোন, আর সাথে ইন্টারনেট দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে চারিদিক। নেই মনের সাথে মনের মিল। বিভিন্ন সময়ে দেখা গিয়েছে, মারণ ইন্টারনেটের ফাঁদে পড়ে শেষ হয়ে গিয়েছে একটা গোটা পরিবার। আজকাল ট্রেন্ডে এসেছে পাবজি গেম। নষ্ট হয়েছে বহু শৈশব। এই মোবাইল আসক্তির মারাত্মক পরিণাম কী হতে পারে তাই টুকরো টুকরো করে চিত্রায়ন করে সিনেপর্দায় তুলে ধরবেন রাজ চক্রবর্তী। তিনি এখনকার জেনারেশনকে বোঝাবেন বাস্তব আর ইন্টারনেটের জীবন কতদূর। নবপ্রজন্মের জন্য কতটা সর্বনাশ এই মোবাইল,ইন্টারনেট,মোবাইল গেম। আর ঠিক সেই ভাবনারই কোলাজ থেকেই ছবি তৈরি করে ফেলেছেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী ‘হাবজি-গাবজি’। কাল ছিল শিশুদিবস আর সেই উপলক্ষে শিশুদের স্বার্থে এল ছবির ট্রেলার। দেখুন সেই ট্রেলার এক নজরে।

এরকমই আজকের দিনের বাচ্চা হল অনীশ বসু। বয়স মাত্র ১০। মা-বাবা দুজনে টাকা রোজগার আর নিজের কেরিয়ার নিয়ে খুব ব্যস্ত। আর অনীশ তিন কামড়ার ফ্ল্যাটে বাবা মায়ের কথা ভেবে সারাদিন কেঁদে যায়। কাঁদতে কাঁদতে ও মা-বাবার অপেক্ষায় ঘুমিয়ে পড়ে। বাড়ি এসে মা দেখে ছেলে ঘরের মেঝেতে ঘুমিয়ে। এরপর ছেলের ১০ বছর জন্মদিনে আলাদীনের আশ্চর্য প্রদীপের মতো তার হাতে আসে মোবাইল। বাবা-ই হাতে ধরে দেয় এই প্রদীপ। মোবাইলে পেয়ে গেল ইন্টারনেট আর মুহূর্তে নেশা ধরে গেল ছেলের। এরপর বাবা মায়ের সাথে দিন দিন সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হতে লাগলো। নেই পড়াশোনায় মন। ফেল করতে থাকলো অনীশ আর ছেলের এই কেরিয়ারগ্রাফ দেখে বাবা মা বুঝতে পারলেন পরমব্রত। বাবা ফোন ছাড়তে বললে বাবাকে ননস্টিক দিয়ে মারতেও হাত কাঁপেনি ছেলের। এরপর কি?

দুমিনিটের ট্রেলারে বর্তমানের খাঁটি বাস্তব তুলে ধরলেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী । যা দেখে বহু মানুষের চোখে জল চলে আসে। প্রসঙ্গত,ছবিতে মা-বাবার ভূমিকায় পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং শুভশ্রী। ‘অনীশ বসু’র চরিত্রে ছোট পর্দার জনপ্রিয় স্যমন্তকদ্যুতি মৈত্র। স্যমন্তকদ্যুতিকে স্টার জলসার ‘প্রথমা কাদম্বিনী’তে উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া, অর্জুন দত্তের ‘সহবাসে’ ছবিতেও নজর কেড়েছে স্যমন্তকদ্যুত। এই প্রথম পরমব্রতের সাথে জুটি বাঁধতে চলেছেন শুভশ্রী। শুভশ্রীর প্রেগনেন্সির আগেই এই সিনেমার শুটিং শেষ হয়ে যায়। এই সিনেমার পাহাড়ে আউটডোর শুটিং রাজ পাহাড়েই সেড়ে নিয়েছেন। আগামী ২৫ অক্টোবর বড়োদিনে আট থেকে আশি সকলের জন্য এই হাবজি -গাবজি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। ট্রেলার দেখে সিনেমা দেখার জন্য মানুষ উৎসাহী দেখার জন্য।

whatsapp logo
Avatar
HoopHaap Digital Media