রবিবার সকাল থেকেই উত্তাল টেলি পাড়া। মাত্র ২৫ বছর বয়সেই গলায় বেডশিট পেঁচিয়ে ঝুলে পড়েন অভিনেত্রী পল্লবী দে। মৃত্যুর সময় কোনো সুইসাইড নোট লিখে যাননি অভিনেত্রী। পল্লবীর বাবার ধারণা, এটা সুইসাইড নয়, খুন হতে পারে। এদিকে তার বন্ধুরা বলছে পল্লবীর ব্যাক্তিগত জীবন বিশেষ মসৃণ ছিল না।
বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে লিভ ইন করতেন পল্লবী। এপ্রিল মাসে একটি আবাসন ভাড়া নেন পল্লবী। তার বয়ফ্রেন্ডের নাম সাগ্নিক চক্রবর্তী। পুলিশের তদন্তের পর জানা যায়, মৃত্যুর আগের দিন রাত্রে সাগ্নিক ও পল্লবী আলাদা ঘরে ঘুমোন। এবং বচসা হয় তাদের মধ্যে। এরপরে সকলেই অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়, এবং সেই দেহ প্রথম দেখতে পান সাগ্নিক। এখন জানার ইচ্ছা হল,, কে এই সাগ্নিক?
View this post on Instagram
পল্লবী নিজে অভিনেত্রী। বেশ কয়েকটি ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে কাজ করেছেন, কিন্তু সাগ্নিক কোনো ভাবেই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত নন। কাজ কি করতেন তা জানা না গেলেও, এটা জানা গেছে যে ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সাগ্নিক চক্রবর্তীর কোনো সম্পর্ক নেই কাজের। অবশ্য, সাগ্নিকের বাবা জানান যে তার ছেলে অনলাইনে কাজ করতেন। বর্তমানে তার ফেসবুক প্রোফাইল দেখা সম্ভব হচ্ছে না এবং ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল প্রাইভেট করা।
View this post on Instagram
পল্লবী কি সত্যি বিয়ে করেছিলেন তার বয় ফ্রেন্ডকে? কারণ, আবাসনে তারা স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে থাকতেন। নাকি মিথ্যে স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিয়ে লিভ ইন করতেন? যদিও লিভ ইন ও বিয়ে এক নয়। এই মুহূর্তে, পল্লবীর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে এখনও সাগ্নিকের ছবি জ্বলজ্বল করছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন প্রয়াত পল্লবী। সেখানে, সাগ্নিকের দিকে হাসিমুখে হাত বাড়িয়ে তিনি। প্রেমিকের হাতে গয়নার একটি ছোট বাক্স। সম্ভবত সেটিতে আংটি ছিল। সাদা-কালো সেই ছবি দিয়ে পল্লবী লিখেছিলেন, ‘অবশেষে’। তাহলে কি তারা সত্যি বাগদান সেরে ছিলেন নাকি বিয়ে?
