রাজ্যজুড়ে এখন হাঁসখালি কান্ডের প্রতিবাদের ঝড়। প্রতিদিন ধর্ষণের সংখ্যা বেড়েই চলেছে দেশজুড়ে। আর এর বিরুদ্ধে একের পর এক বিশিষ্টজনরা মুখ খুলছেন। সম্প্রতি দেবলীনা কুমার নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। যেই ভিডিওতে কাল্কি কেঁকলা তির্যকভাবে বোঝাচ্ছেন যে ধর্ষণের জন্য প্রকৃতপক্ষে দোষী হলো মেয়েদের ছোট পোশাক। অর্থাৎ তিনি মেয়েদেরই এই ঘৃণ্য কাজের জন্য প্রধান দোষী বলে মনে করছেন! কিন্তু কেন এমন বলছেন কাল্কি? নিজের কথার মাধ্যমে যেন তীব্র বান দিচ্ছেন কাল্কি। তিনি বলেন যে নারী নিজেই ধর্ষণের প্রকৃত কারণ! এমন কিছু পোশাক তাঁরা পরেন, যা পুরুষদের আকর্ষিত এবং উত্তেজিত করে তোলে। তাদের চোখ আছে তাই তারা দেখে নারীদের দোষ তারা দেখাবেন কেন।
View this post on Instagram
তিনি তালিকা দিয়ে বলেছেন নারীদের কোন কোন পোশাকে দেখলে পুরুষরা মোহিত হয়ে পড়েন। সেগুলি হল ছোট স্কার্ট, হট প্যান্ট, শর্ট ড্রেস, হাতাকাটা গাউন। অত্যাশ্চর্যের বিষয় হলো এমনকি বোরখা পরা নারীকে দেখলেও নিজেদের কামবাসনা আটকে রাখতে পারেন না পুরুষরা! তাই উত্তেজনার বশে ঘটে যায় এরকম দু একটি দুর্ঘটনা। এরপরেই সকালে কটাক্ষ করতে থাকে যত নষ্টের গোড়া নারীই! যদি এই পৃথিবীতে নারীর কোনো অস্তিত্বই থাকত না তাহলে ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটতো না। তবে উল্টোদিক থেকে প্রশ্ন ওঠে তাহলে পুরুষের জন্য হতো কোথা দিয়ে? পুরুষরা কি পুরুষদের জন্ম দিত?
একজন পুরুষ তো রীতিমত সোচ্চার হয়ে ওঠে এই বিষয় নিয়ে। তার সবচেয়ে বড় অভিযোগ নারীরা কোন অধিকারে প্রশ্ন তোলে। নারীরা তাই অকপটে স্বীকার করে নেয় যে সব দোষ তাদের। প্রশ্ন তোলাটাও তাদের ভুল!
কাল্কির সুরে সুর মিলিয়েছেন দেবলীনাও। কিন্তু কেন অভিনেত্রী এরকম কথা বলছেন। দেবলীনা জানান কাল্কির মন্তব্য অত্যন্ত সময়োপযোগী। তার সঙ্গে যদিও এই দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবু তার মনে হয়েছে, এটি ভাগ করে নেওয়া দরকার। তাই তিনি করেছেন। দেবলীনা বলেছেন যে অবশ্যই মেয়েদের দোষ আছে। আর মেয়েদের পোশাকের। পোশাক উত্তেজক হলে এ সব তো ঘটবেই!’ বলাই বাহুল্য দেবলীনার এই মন্তব্যে এখন সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল। তাকে ঘিরে এখন বিতর্কের শেষ নেই।