14 ই মে দিয়া মির্জা (dia mirza) তাঁর পুত্রসন্তান অভ্যান আজাদ রেখির জন্ম দিয়েছেন। কিন্তু জন্মের পর থেকেই শারীরিক অসুস্থতার কারণে দীর্ঘ সময় ধরে অভ্যানকে এনআইসিইউ-তে রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পয়লা অগস্ট থেকে শুরু হয়েছে ‘ব্রেস্টফিডিং উইক’। প্রকৃতপক্ষে স্তন্যপান নিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্যই ঘোষণা করা হয়েছে ‘ব্রেস্টফিডিং উইক’। এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন নতুন মা দিয়া।
দিয়া জানিয়েছেন, ভারতবর্ষের অধিকাংশ জায়গায় স্তন্যপান করানোর জন্য বিশেষ স্থানের অভাব রয়েছে। কোনো ওয়ার্কিং মাদার যেমন কোনো মজদুর নারী বা ইটভাটায় কাজ করা কোনো শ্রমিক নারীদের সঙ্গে অনেক সময় তাঁদের কোলের শিশুরাও থাকে। ফলে সেই শিশুদের স্তন্যপান করানোর জন্য স্থানের প্রয়োজন হয়। কিন্তু মায়েদের জন্য সেই আব্রুটুকুরও ব্যবস্থা করা হয় না। দিয়ার এই মন্তব্য প্রসঙ্গে কলকাতা শহরের বুকে কয়েক বছর আগে সাউথ সিটি মলের ঘটনাটি মনে পড়ে যায়। সাউথ সিটি মলে একজন সদ্য মা হওয়া মহিলাকে তাঁর সন্তানকে স্তন্যপান করানোর জন্য মহিলাদের বাথরুমকে বেছে নিতে হয়েছিল কারণ সাউথ সিটি মলের মতো অভিজাত স্থানে স্তন্যপান করানোর জন্য কোনো আলাদা রুম ছিল না। বাথরুমে একজন শিশুকে স্তন্যপান করানো অত্যন্ত আনহাইজেনিক জেনেও সেদিন শিশুর মা ঝুঁকি নিয়েছিলেন। কিন্তু সাউথ সিটি মলের সিকিউরিটি এই কারণে মহিলাকে অশ্লীলতার দায়ে দুষ্ট করেছিলেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে তোলপাড় হয়েছিল শহর কলকাতা। এর কিছুদিন পরেই সাউথ সিটি মলে স্তন্যপান করানোর জন্য বিশেষ রুমের ব্যবস্থা করা হয়।
দিয়া জানিয়েছেন, ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশন বা ‘হু’-র মতে জন্মের পর থেকে ছয় মাস পর্যন্ত একজন শিশুকে স্তন্যপান করানো জরুরী। এর ফলে শিশুদের পুষ্টি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের মধ্যে পর্যাপ্ত ইমিউনিটি তৈরি হয়। কিন্তু মাতৃত্বকালীন অপুষ্টিতে ভোগার ফলে বহু মহিলা স্তন্যপান করাতে সক্ষম হন না। তার ফলে তাঁদের শিশুরাও অপুষ্টির শিকার হন। দিয়া বেলজিয়ামের উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, সেখানে জনসমক্ষে শিশুকে স্তন্যপান করানোর আইন রয়েছে। ভারতবর্ষে এই ধরনের কোনো আইন না থাকার শিকার হচ্ছেন মহিলা ও শিশুরা।
দিয়া জানিয়েছেন, স্তন্যপান একটি অত্যন্ত প্রাকৃতিক বিষয় যা একটি শিশুর স্বাস্থ্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। তাই এই ঘটনা নিয়ে লজ্জিত হওয়ার কিছু নেই। যদি কোনো মা পর্যাপ্ত স্থান না পেয়ে জনসমক্ষেই তাঁর শিশুকে স্তন্যপান করান, তাহলে তাঁকে অপমানিত করা বা অশ্লীল আক্রমণ করা অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ।
View this post on Instagram