সমস্ত হোটেল বুকড তবু সৈকতে নেই ভিড়, গোপনে মধুচক্রের আখড়া হয়ে উঠছে দীঘা-মন্দারমণি!
বর্তমানে যে পরিস্থিতি হয়েছে এসব সময় কাজের চাপে মানুষের মাথা খারাপ হয়ে যায়। ছুটির দিন পেলেই সকলের মনে হয় দৌড়ে চলে যায় একটু দীঘার সমুদ্র দেখতে। সকলেরই ভীষণ প্রিয় একটা জায়গা এই সমুদ্র সৈকত এবার হয়ে উঠেছে একেবারে মধুচক্রের আঁতুরঘর, বিশেষ করে যারা পরিবার-পরিজনের সঙ্গে যাবে ভাবছেন তাদের জন্য ভীষণ সমস্যার বিষয়টা, অভিযানের পরেও দেহ ব্যবসার এই চক্রকে কিছুতেই বন্ধ করা যাচ্ছে না, বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
দীঘায় মধুচক্রের ব্যবসা একেবারে রমরমা
স্থানীয় মানুষরা অভিযোগ করছেন যে সপ্তাহের শেষে বেশিরভাগ পর্যটক দিঘায় আসেন ঘুরতে। এ কথা ঠিকই কিন্তু অনেকেই আসেন দীঘায়, স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করতেন শনি, রবিবার উদ্দাম পার্টি চলে। সমস্ত জায়গাতেই এই পার্টি করে তারা আবার বাড়ি ফিরে যান, আর এইভাবে দীঘা, মন্দারমনির মতো পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে হাতিয়ার করেই এখানকার সমস্ত ব্যবসা-বাণিজ্য চলে।
এই সমস্ত মধুচক্র ভাঙতে একেবারে সক্রিয় হয়ে উঠেছে পুলিশ প্রশাসন, যার জন্য লাগাতার অভিযান চালানো হচ্ছে, যার ফলে পুলিশ সূত্রে খবর দীঘা, মন্দারমনিতে অভিযান চালিয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে হোটেল ব্যবসার আড়ালে বড় বড় মধুর চক্রের হদিশ পাওয়া গেছে। পুলিশি অভিযান শুরু হতেই ঝুলি থেকে বেড়াল বেরোনোর মতো একে একে বেরিয়ে আসছে এই সমস্ত অবৈধ কারবার।
এর জেরে দিঘা সৈকত কালিমালিপ্ত হচ্ছে, এমনটাই স্বাভাবিক। দীঘার যে পুরনো ঐতিহ্যতা একেবারেই হারিয়ে যাচ্ছে, পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, মন্দারমনির দুই হোটেলে মধুচক্রের পর্দা ফাঁস হয়েছে, ওল্ড দিঘার ঘর একটি হোটেলেও মধুচক্রের হদিশ পাওয়া যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, ছয় জন যুবতীকে পাকড়াও করা হয়েছে। কয়েকদিন আগে দুই দফায় মন্দারমনিতে মধুচক্রের বিরুদ্ধে অভিযান ও চালানো হয়েছে।