সিঁদুর পরে হিন্দুদের বোকা বানিয়েছেন, প্রকাশ্যে নুসরতকে এক হাত নিলেন দিলীপ ঘোষ
হিন্দুদের বোকা বানিয়ে ভোট নেওয়া হয়েছে, হাতে শাখা পলা, সিঁথিতে চওড়া সিঁদুর পড়ার পরেও বলছেন তিনি অবিবাহিত। বিয়েকে সহবাস আখ্যা দিয়ে নিখিল জৈনের থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য বিভিন্ন নীতি বিরুদ্ধ কাজ করেই চলেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহান।
নুসরত মা হচ্ছেন, এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই অধিকাংশ মানুষ নুসরতের কেচ্ছা ও চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন করে। নিখিল অস্বীকার করে ওই সন্তান। নিখিলের দাবী নুসরত নিজেই তার বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছে এবং প্রায় সাত মাস তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। এরপরেই সবার নজর যায় যশ দাশগুপ্তের দিকে। ছিঃ ছিককার ওঠার সঙ্গে সঙ্গে নুসরত জানিয়ে দেন নিখিল তার সহবাসের সঙ্গী ছিলেন শুধু। তুরস্কে গিয়ে বিয়ে করেননি। সহবাস উদযাপন করতে যান। অথচ সাংসদ হওয়ার সময় যেই ফর্ম তাকে পূরণ করতে হয় ওখানে গোটা গোটা অক্ষরে লেখা আছে নুসরত জাহান বিবাহিত এবং স্বামীর নাম নিখিল জৈন।
নুসরতের এমন কেচ্ছার বিরুদ্ধে তার অনুরাগীরাও মুখ খুলেছে। তাদেরও দাবী নুসরত যা করছেন তা একেবারেই ঠিক নয়। এবারে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Dilip Ghosh) দাবি করলেন, সিঁদুর পরে হিন্দুদের বোকা বানিয়ে ভোট নিয়েছেন বসিরহাটের সাংসদ। এটা লজ্জার বিষয়। এই গোটা পর্বে দূরত্ব রেখে চলেছে তৃণমূল। অবশ্য, দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ টুইট করেছেন, এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।
শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় থেকে মদন মিত্র এখন নুসরত জাহান, একের পর এক ব্যাক্তিত্ব সমালোচনার পাত্র হয়ে উঠছেন কখনো না কখনো। অথচ নুসরত প্রসঙ্গে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলে দিচ্ছেন এতে দলের সম্পর্ক নেই। তাহলে কার সম্পর্ক আছে? উল্লেখ্য, এদিন বসিরহাটে সাংবাদ মাধ্যমকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন,”বসিরহাটের লোকেরা তাঁকে সাংসদ করেছেন। আপনারাই ঠিক করুন, উনি বিয়ে করেছেন কিনা কাকে করেছেন, কবে করেছেন! ছেলের মা হতে যাচ্ছেন সেনিয়েও প্রশ্ন আছে। ভেবে দেখুন যাঁকে আড়াই লাখের ভোটে জিতিয়েছেন, তিনি কে বা তাঁর কী পরিচয়? বিয়ে না করে সিঁদুর লাগিয়ে হিন্দুদের বোকা বানিয়ে ভোট নিলেন। খুবই লজ্জার বিষয়। আমার মনে হয় নির্বাচনের জন্য বিয়ে করেছিলেন। নির্বাচন হয়ে গিয়েছে সত্য কথা বেরিয়ে এসেছে।”