দীপঙ্কর দে (Dipankar Dey) ইন্ডাস্ট্রির বর্ষীয়ান অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম। সত্যজিৎ রায় (Satyajit Ray)-এর মতো কিংবদন্তী পরিচালকের সাথে কাজ করেছেন তিনি। অভিনয় করেছেন বিভিন্ন ধারার ফিল্মে, বিভিন্ন শেডের চরিত্রে। যাত্রা শুরু হয়েছিল ‘বাঞ্ছারামের বাগান’-এ নেতিবাচক চরিত্রের মাধ্যমে। এরপর থেকে সময় যত এগিয়েছে, ততই দীপঙ্কর অভিনেতা হিসাবে স্থাপন করেছেন নিজের মাইলস্টোন। কখনও নায়ক, কখনও খলনায়কের চরিত্রে অনবদ্য দীপঙ্কর চাইলেন শুধুমাত্র তাঁর নেতিবাচক চরিত্রগুলি নিয়েই কথা বলতে। দীপঙ্করের মতে, অভিনেতাদের কাজ হল সুইচ অন ও সুইচ অফ করা। কারণ তাঁদের দুটো মানসিক কম্পার্টমেন্ট রয়েছে।
দর্শকদের কাছে খলনায়কের ইমেজ খারাপ হলেও তাতে যায়-আসে না দীপঙ্করের। কারণ তিনি জানেন, খুনের দৃশ্যে অভিনয় মানে সত্যিই খুন করে ফেলা নয়। ফলে তাঁকে কে কিভাবে জাজ করেন, তা নিয়ে ভাবেন না দীপঙ্কর। তাঁর কাছে এখনও ‘পাপী’, ‘বাঞ্ছারামের বাগান’, ‘রক্তে লেখা’-র মতো চরিত্রগুলি কেরিয়ারের অন্যতম মাইলস্টোন। তবে বর্তমানে অনেকটা সময় পেরিয়ে এসেছেন দীপঙ্কর। ফলে ইদানিং খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করতে চান না তিনি।
কারণ হিসাবে অবশ্যই শারীরিক পরিস্থিতির কথা জানালেন দীপঙ্কর। জীবনের চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ক্লান্ত অভিনেতা বললেন, এই বয়সে তাঁর শরীর আর দেবে না। খলনায়কের চরিত্রের জন্য আলাদা ফিটনেসের প্রয়োজন রয়েছে। মারধোর খেয়ে দৌড়ানো, লাঠি-তলোয়ারের কোপ, গুলি খেয়ে লুটিয়ে পড়ার মতো সিকোয়েন্সের জন্য শরীর ফিট না থাকলে অভিনয় সম্ভব হয় না। মাথা ফাটিয়ে খলনায়ক হওয়ার পক্ষপাতী নন দীপঙ্কর। তাঁর মতে, ভরপুর অ্যাকশন ছাড়া খলনায়কের চরিত্র সম্ভব নয়।
করোনা অতিমারীর সময় তাঁর স্ত্রী দোলন রায় (Dolon Roy) স্বামীকে বেশি বেরোতে দিতেন না। ফলে সেই সময় থেকেই যথেষ্ট কাজ কমিয়ে দিয়েছেন দীপঙ্কর।
View this post on Instagram