Dipanwita Kundu: ‘পান্তা ভাতের কুন্ডু’-কে কাছে পেয়ে বুকে টেনে নিলেন মিঠুন চক্রবর্তী!
জি-বাংলার ‘ডান্স বাংলা ডান্স’ বাংলা টেলিভিশনের একটি সর্বাধিক জনপ্রিয় ডান্স রিয়েলিটি শো। এক দশকের বেশি সময় ধরে সম্প্রচারিত হয়ে আসছে এই শো। তাই এই শোয়ের জনপ্রিয়তার এবং প্রতিযোগীদের ব্যাপ্তি গোটা বাংলা এমনকি বাংলার বাইরেও। তাই এত দীর্ঘ সময় চলার কারণে এক প্রতিযোগীর আবার এই মঞ্চে ফিরে আসার সম্ভাবনাও রয়েছে। ঘটলও তাই। ১২ বছর পর ‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এর মঞ্চে প্রত্যাবর্তন ঘটল দীপান্বিতা কুন্ডুর (Dipanwita Kundu), মিঠুন চক্রবর্তী যাকে মজার ছলে ‘পান্তাভাতের কুন্ডু’ বলেই ডাকেন। সঙ্গে ফিরে এল একরাশ নস্টালজিয়া। কি হল শোয়ের মঞ্চে? দেখুন সবিস্তারে।
‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এর সিজন ২০১০-১১ তে প্রথমবার দেখা গিয়েছিল এই খুদে শিল্পীকে। পুঁচকে বয়সে একদম রসগোল্লার মতো মিষ্টি ছিল মেয়েটি। খুদে প্রতিযোগী দীপান্বিতা কুন্ডুর দুর্দান্ত মুখের এক্সপ্রেশনের সঙ্গে পরিপক্ক নৃত্যশৈলী দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন বিচারক থেকে মহাগুরু সকলেই। সেই সময় মিঠুন চক্রবর্তী তাকে তার নাম জিজ্ঞেস করেন। আধো আধো গলায় সে নিজের নাম বলে। তখন মজা করে মিঠুন হলে ফেলেন, “কি! পান্তাভাতের কুন্ডু!”। তারপর থেকে সেই নামেই তিনি খ্যাত। বর্তমান সিজনেও সে প্রতিযোগী হিসেবে হাজির। আর তাকে এতদিন পর দেখেই নস্টালজিক হয়ে পড়লেন মহাগুরু।
জি-বাংলার তরফে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। তাতে মঞ্চে দেখা যাচ্ছে প্রতিযোগী দীপান্বিতা কুন্ডুকে। লাল লেহেঙ্গায় সে হাজির। আর সে তার নাম বলতেই ভাবুক হয়ে পড়েন মিঠুন। অনেকটা ভেবে বলেন, ‘ও মাই গড! সুই সেই পান্তাভাতের কুন্ডু!’। তারপরেই হাসির রোল ওঠে গোটা মঞ্চে। নস্টালজিক হয়ে পড়েন খোদ প্রতিযোগীও। গোটা মঞ্চ এমনকি দর্শক ও মেন্টরদের মধ্যে প্রত্যেকেই স্মৃতি রোমন্থনে মজে যান।
মঞ্চে নাচ করেন দীপান্বিতা। তাকে দেখা গেছে লাল লেহেঙ্গা পরে ‘বাংলা আমার সর্ষে ইলিশ, চিংড়ি কচি লাউ’ গানে নাচতে। আগের মতোই মুখের ভঙ্গিমায় পটু রয়েছে সে। আর নাচ শেষে রয়েছে আরো চমক। মঞ্চে এসে দীপান্বিতাকে জড়িয়ে ধরে মিঠুন তাকে অনেক আশীর্বাদ করলেন।