স্কুলের গন্ডিতে থাকাকালীন ধারাবাহিকের রিড রোলে অভিনয় করছেন এই মেয়ে৷ স্কুলের গন্ডি পেড়োতে না পেড়োতে এখন বড়পর্দাতেও অভিনয় শুরু করে ফেলেছেন সবার প্রিয় দিতিপ্রিয়া রায় থুরি রানী রাসমনি। কাজের সাথে সাথে পড়াশোনাটা বেশ ভালো ভাবে চালাচ্ছেন অভিনেত্রী। স্কুল শেষ হলেও পড়াশোনা এখন শেষ হয়নি। এখন কলেজ পড়ুয়া। করোনার জন্য কলেজ যেতে না পারলেও অনলাইনে চলছে কলেজের ক্লাস। তাহলে বলাই বাহুল্য এই অভিনেত্রী রুপে লক্ষী আর গুণে সরস্বতী।
গতকাল ছিল সারা বাংলায় বাড়ি বাড়ি সরস্বতীর আরাধনা। মায়ের আরাধনাতে ব্যস্ত ছিল সকলে। টেলিইন্ড্রাস্টির তারকারা নিজেদের মতো করে বাগদেবীর আরাধনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। টেলিভিশনের পর্দায় আমরা দিতিপ্রিয়াকে সকলের প্রিয় রানীমা হিসেবে জানি কিন্তু এই অভিনেত্রী নিজের বাড়ির সবচেয়ে আদুরে। বছরের বাকি দিনগুলো যতই কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকুক সরস্বতী পুজোর দিন কাজ থেকে ছুটি চাই তাঁর। বাঙালি রীতি মেনে এই দিন সকলে পুজো করেন। প্রতিবছর অভিনেত্রী নিষ্ঠার সাথে বাগদেবীর আরাধনা করেন।
এবছর দিতিপ্রিয়ার বাড়ির সরস্বতী এসেছেন ডাকের সাজে। শোলা দিয়ে সাজানো মায়ের প্রতিমা, মায়ের পরনে রয়েছে বাসন্তী রঙের শাড়ি। পুজোর দিন সকাল সকাল নিজের হাতে মায়ের বন্দনার প্রস্তুতি নিলেন অভিনেত্রী। ফুল, মিষ্টি সহকারে পুজো করতে দেখা গিয়েছে পুরোহিতকে। পুজোয় প্রসাদে ছিল পোলাও, আলুর দম, ছানার কোপ্তা, বেগুনি, ভেজিটেবল চপ, চাটনি, পাপড়, মুখশুদ্ধি।
অন্যদিন ওয়েস্টান আর জিন্স টপ পড়লেও বগদেবীর আরাধনার দিন শাড়ি পড়া চাই অভিনেত্রীর। এখানেও রানীমা টুইস্ট রেখেছেন এই দিন প্রচলিত বাসন্তী কিংবা হলুদ রঙের শাড়ি নয়, গতে বাঁধা ছক থেকে বেরিয়ে ধূসর রঙের সিল্ক শাড়ি আর চিকণের কাজ করা সাদা ব্লাউজে আর নো-মেক আপ লুকে আর ঠোঁটে হাল্কা মেক আপে সেজেছেন রানিমা আর এবারে একটা ছোট্ট টিপ পড়েছেন।। বন্ধুদের সাথে মনের মতো গান আড্ডা আর জমজমাট গল্প দিয়ে দিনটা কাটিয়ে দিলেন। আর এই পুজোর নানান মুহূর্ত নিজের ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডেলে শেয়ার করলেন। নিমেষে ভাইরাল হয় এই পোস্ট।
View this post on Instagram