অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)-কে বারবার হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। শ্রীলেখা পথকুকুরদের যত্ন নেওয়া, তাদের খাওয়ানোই শুধু নয়, সাধ্যমতো তাদের ট্রিটমেন্টের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু তিনি যে আবাসনে থাকেন, সেই আবাসনের কিছু বাসিন্দাদের অপছন্দ শ্রীলেখার পথপশুদের প্রতি মমতা। সাম্প্রতিক একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, শ্রীলেখার পোষ্য সারমেয়কে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার কথাও বলা হচ্ছে। কিন্তু যখন আবাসনের বাসিন্দারা বুঝতে পেরেছেন, শ্রীলেখা ফেসবুক লাইভ করছেন, তখন তাঁরা বলতে শুরু করেছেন, তাঁরা সারমেয়দের বিষ খাওয়ানোর কথা বলেননি। শ্রীলেখার পক্ষে অধিকাংশ নেটিজেন কথা বলেছেন। এবার তাঁর পাশে দাঁড়ালেন দিতিপ্রিয়া রায় (Ditipriya Roy)।
‘অভিযাত্রিক’ ফিল্মে একসঙ্গে কাজ করার সূত্রে দিতিপ্রিয়া ও শ্রীলেখা একে অপরকে চেনেন। দিতিপ্রিয়া নিজেও সারমেয়-প্রেমী। শ্রীলেখার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনায় রীতিমত মর্মাহত তিনি। নিজের টাইমলাইনে একটি ভিডিও শেয়ার করে দিতিপ্রিয়া সমস্ত কেয়ার গিভারদের একজোট হতে বলেছেন। ভিডিওয় দিতিপ্রিয়া বলেছেন, তিনি বেশ কিছুদিন ধরে শ্রীলেখার প্রতি হেনস্থার ঘটনা দেখতে পাচ্ছেন। তিনি জানেন, শ্রীলেখা সারমেয়দের জন্য অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। 2019 সাল থেকে শ্রীলেখাকে চেনেন দিতিপ্রিয়া। তিনি ভালোবেসে সারমেয়দের খাবারের ব্যবস্থা করছেন বলে তাঁর অ্যাপার্টমেন্টের লোকেরা তাঁকে নানাভাবে হেনস্থা করছে। এমনকি সারমেয়দের বিষ প্রয়োগ করে মেরে ফেলার কথা বলছে।
এই মুহূর্তে ব্যাপারটি যথেষ্ট সিরিয়াস অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে। দিতিপ্রিয়ার মতে, এবার সমস্ত ডগ লাভারদের একজোট হয়ে ঘটনাটির প্রতিবাদ করা উচিত। তাদের জন্য কথা বলা উচিত, যারা কথা বলতে পারে না। শ্রীলেখা সারমেয়দের পাশে থাকলেও তাঁর পাশে কারা আছেন? এই প্রশ্ন তুলেছেন দিতিপ্রিয়া। যাঁরা কুকুর ভালোবাসেন, তাঁদের শ্রীলেখার পাশে দাঁড়াতে হবে বলে মনে করেন তিনি। দিনের পর দিন হেনস্থা হচ্ছেন শ্রীলেখা। এবার তা বন্ধ হওয়া উচিত। দিতিপ্রিয়া সকলকে অনুরোধ করেছেন, শ্রীলেখার পাশে দাঁড়িয়ে এই বর্বরতাকে শেষ করা উচিত। কারণ আজ যা শ্রীলেখাকে সহ্য করতে হচ্ছে, কাল তা অন্য কাউকে সহ্য করতে হতে পারে।
View this post on Instagram
গত শুক্রবার ঘটনাটির লাইভ করার পর আরেকটি লাইভে এসে কেঁদে ফেলেন শ্রীলেখা। তিনি বলেন, অনেক কষ্ট করে তিনি এই অ্যাপার্টমেন্টটি কিনেছেন। কিন্তু তাঁকে এখানে খারাপ ভাবে স্পর্শ করা হচ্ছে, তাঁকে পাগল বলা হচ্ছে। তাঁর সারমেয়কে বিষ খাওয়ানোর হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি তাঁর বাড়ির বাইরে নোংরা আবর্জনা ফেলার কথা বলা হচ্ছে। শ্রীলেখার মনে হচ্ছে, তিনি নেতিবাচকতার কাছে হেরে গিয়েছেন। এমনকি শ্রীলেখা বর্তমান অ্যাপার্টমেন্টটি বেচে অন্য কোথাও গিয়ে থাকার কথা ভেবেছেন।