Hoop Life

Hair Care Tips: চুল পড়ার সমস্যা মেটাবে রান্নাঘরে থাকা এই সহজলভ্য উপাদান

আদার রস চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে। আদার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম এবং ক্যালসিয়াম। আদা যেমন শরীরের জন্য ভীষণ ভালো। সর্দি, কাশি হলে আদা তুলসীর রস পান করলে সর্দি কাশির নিমেষে চলে যেতে পারে। ঠিক তেমনি আদার রস কিন্তু চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে, তাই আর দেরি না করে আমাদের Hoophaap এর পাতায় চটজলদি দেখে ফেলুন- আদাকে কিভাবে ব্যবহার করলে আপনার চুল ওঠা বন্ধ হয়ে যাবে।

১) আদার রস – আদার রস যদি তুলোয় দিয়ে চুলের গোড়ায় গোড়ায় ফেলতে পারেন, শুধু আদা রস চুলের গোড়ায় গোড়ায় খুব ভালো করে দিয়ে খানিকক্ষণ রেখে ম্যাসাজ করে তারপরে সামান্য জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন। সব সময় শ্যাম্পু করতে হবে না, তাহলে কিন্তু চুল স্ট্রং থাকবে।

২) আদার রস, নারকেল তেল – আদার রসের সঙ্গে নারকেল তেল খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর মিশ্রণটি খুব ভালো করে চুলের গোড়ায় গোড়ায় ভালো করে ম্যাসাজ করে নিন। এরপর আপনি অন্তত এক ঘণ্টা রেখে দিন। তারপরে ভালো করে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, প্রয়োজনের শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে দুদিন করলেই দেখবেন, চুলের গোড়া কতটা পরিষ্কার সুন্দর হবে।

৩) আদার রস, লেবুর রস – আদার রসের সঙ্গে লেবুর রস খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন এরপর এই মিশ্রণটিকে খুব ভালো করে মাথায় ম্যাসাজ করে নিন, এটি করলে দেখবেন চুলের খুশকি অনেকটা কমে যাবে। যাদের খুশকির সমস্যা অত্যন্ত বেশি, শীতকাল এলেই ভাবেন, এত বেশি পরিমাণে পুষ্টি চুল উঠে যাবে, তারা কিন্তু এটি ব্যবহার করতে পারেন।

৪) আদার রস, অ্যালোভেরা জেল – আদার রসের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল ভালো করে মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন, তবে টাটকা টাটকা ব্যবহার করাই ভালো। চুলের গোড়ায় গোড়ায় ভালো করে ম্যাসাজ করুন। দেখবেন আপনার চুল কত নরম এবং সিল্কি হয়ে গেছে। কিছুক্ষণ পরে কোন মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

৫) আদার রস, চায়ের লিকার – শ্যাম্পু করার আগে খুব ভালো করে চায়ের লিকার করে নিন। এরপর এর মধ্যে আদার রস দিয়ে দিন। এই মিশ্রণটি চুলে ভালো করে লাগিয়ে নিন। শুধু তাই নয়, গোটা চুলে ভালো করে লাগিয়ে চুল বেঁধে প্রায় এক ঘন্টার মতো রেখে দিন, তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন বা জল দিয়েও ধুতে পারেন।

সতর্কীকরণ– উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনো রকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।

Related Articles