অল্প দিনেই দর্শক মহলে চর্চার কেন্দ্রে উঠে এসেছে ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha)। জি বাংলার এই ধারাবাহিক মূলত এর গল্পের জন্যই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। শুরুটা যদিও হয়েছিল বিতর্ক দিয়ে। এমনকি সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলার অভিযোগও তুলেছিলেন দর্শকদের একাংশ। এখনো নিজের অভিনীত চরিত্রের জন্য উঠতে বসতে গালমন্দ শুনতে হয় অভিনেতা দ্রোণ মুখোপাধ্যায়কে (Drronn Mukherjee)।
সিরিয়ালে শিমুল ওরফে মানালি দে এর স্বামী পরাগের ভূমিকায় অভিনয় করছেন দ্রোণ। দর্শকরা ইতিমধ্যেই তাঁকে খলনায়কের তকমা দিয়ে দিয়েছেন। শুরু থেকেই এই চরিত্রটি দর্শকদের অপছন্দের তালিকায় ছিল। যত দিন যাচ্ছে ততই যেন সকলের চক্ষুশূল হয়ে উঠছে পরাগ। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচারিত হয়ে আসছে শিমুল। আর এর নেপথ্যে বড় ভূমিকা পালন করছে তারই স্বামী পরাগ। এহেন চরিত্রে অভিনয় করার পর কেমন প্রতিক্রিয়া পান দ্রোণ?
সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে মুখ খোলেন অভিনেতা। বাস্তব জীবনেও তিনি বিবাহিত। দ্রোণ জানান, পরাগ চরিত্রটির জন্য অনেকের অনেক রকম কথা তাঁকে শুনতে হয়। এমনকি তিনি এও শুনেছেন যে, টাকার জন্য নাকি এই ধরণের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি রাজি হয়েছেন। পরাগের মতো চরিত্রগুলো সমাজে খারাপ প্রভাব ফেলে। তবে শুধু যে খারাপটাই শোনেন এমনটাও নয়। দ্রোণ জানান, অনেকে বাস্তব জীবনের সঙ্গে চরিত্রগুলির মিল খুঁজে পাচ্ছেন।
বিপরীতে নায়িকার চরিত্রে রয়েছেন মানালি, যিনি একজন যথেষ্ট দক্ষ এবং অভিজ্ঞ অভিনেত্রী। পর্দার শিমুলের সঙ্গে বাস্তবের সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে দ্রোণ জানান, অভিনয়ের জন্য পর্দায় অভদ্রতা করতে হলেও বাস্তবে কিন্তু তাঁদের সম্পর্ক খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ। মানালির সঙ্গে অভিনয় করাটা যেমন সহজ তেমনি তাঁর সঙ্গে এর মধ্যেই বেশ বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে বলে জানান দ্রোণ। পরাগ চরিত্রটিতে অভিনয় করতে গিয়ে বেশ কিছু প্রতিকূলতার সম্মুখীনও হয়েছেন তিনি। যেমন, শিমুলকে শারীরিক সম্পর্কের জন্য জোর করার একটি দৃশ্য ছিল যা ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিল। কিন্তু দ্রোণর কথায়, অভিনয় পেশা তিনি বেছেছেন সব ধরণের চরিত্র এবং দৃশ্যে অভিনয় করতে হবে সেটা জেনেই। তাই চরিত্রের গভীরে প্রবেশ করতে হলে অস্বস্তি ত্যাগ করতে হয় সবার আগে।