অবশেষে স্বস্তির খবর, দক্ষিণবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতির মাঝেই জল ছাড়া নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত DVC-র
জুলাইয়ের শেষ থেকে ভারী বর্ষণের জেরে নাজেহাল অবস্থা বঙ্গবাসীর। ঘূর্ণাবর্ত, নিম্নচাপের জেরে একটানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের অনেক জেলাই। এর মধ্যে আবার ডিভিসি (DVC), পাঞ্চেত ড্যাম থেকে জল ছাড়ায় হাওড়া, হুগলির বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়ে গিয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের দুশ্চিন্তা এবারও কমতে চলেছে একটু। বন্যা সম্ভাবনার মাঝেই দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন বা ডিভিসির তরফে এল স্বস্তির খবর।
সোমবার ডিভিসির তরফে জানানো হয়েছে, বাঁধ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন জল ছাড়ার পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ৪৯ হাজার কিউসেকে। মনে করা হচ্ছে, আবহাওয়ার উন্নতি এবং বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ডিভিসির তরফে।
তেনুঘাট থেকে জল ছাড়ার পর রবিবার সকালে ফের ঝাড়খণ্ড পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তের পাঞ্চেত এবং মাইথন থেকে ১.২ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ার হয়। এরপরেই ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে চিঠি দিয়ে বাঁধ থেকে ছাড়া জল কম করার বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করার পরামর্শ দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যকে না জানিয়েই ডিভিসি জল ছাড়ায় দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল রাজ্যবাসীর কপালে। উপরন্তু ৫ এবং ৬ তারিখ ভরা কোটাল থাকায় দুয়ের মিলিত প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের বহু জেলা প্লাবিত হয়। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি, বীরভূমের মতো জেলাগুলিতে পড়েছে ডিভিসির জল ছাড়ার প্রভাব। তবে এ বিষয়ে ডিভিসির এক আধিকারিক বলেন, বৃষ্টিপাতের উন্নতি, নদী খনন এবং জলপ্রবাহ ব্যবস্থাপনায় পশ্চিমবঙ্গ ভালো কাজ করেছে। এর ফলে আর কোনও বন্যা পরিস্থিতির পূর্বাভাস নেই। এর ফলে বাঁধের জল ধারণ ক্ষমতা বেড়ে ১.৫ লক্ষ কিউসেক হয়েছে।