E-Shram: অবসরকালীন বয়সে মাসিক ৩ হাজার টাকার পেনশন, এই কার্ড হাতে থাকলেই মিলছে সুবিধা
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একাধিক জনহিতৈষী প্রকল্পের রূপায়ন ঘটিয়েছে মোদি সরকার। আর সাধারণ দেশবাসীর জন্য কেন্দ্রের অন্যতম একটি প্রকল্প হল ‘ই-শ্রম’। ২০২১ সালের আগস্ট মাসে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক দ্বারা ই-শ্রম চালু করা হয়েছিল। এই যোজনায় শ্রমিক সহ অসংগঠিত অঞ্চলের শ্রমিকদের উন্নতিসাধন করার চেষ্টা করা হয়েছে। মূলত অসংগঠিত শ্রমিকদের ন্যাশনাল ডাটাবেস তৈরির জন্য ই-শ্রম পোর্টাল তৈরি করা হয়েছিল। এই ডাটাবেসের মাধ্যমে অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্পের বাস্তবায়ন উন্নত করা।
প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনার অধীনে নিবন্ধিত শ্রমিকরা ২ লক্ষ টাকার দুর্ঘটনা বীমা কভারেজ পাবেন। ভবিষ্যতে, পোর্টালের মাধ্যমে শ্রমিকদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধা বিতরণ করা হবে। এছাড়াও এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত থাকলে তবেই ।ইলবে একাধিক সরকারি সুবিধা। PMAY, PMJAY, PM Kisan সহ একাধিক কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলির সুবিধা পাবেন ই-শ্রম কার্ড থাকলে। পাশাপাশি, এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত এমন নাগরিক, যার বয়স ৬০ বছরের বেশি, তিনি এই প্রকল্প থেকে প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা করে পেনশন পাবেন। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি বিমা, আয়ুষ্মান ভারত সহ অনেক প্রকল্পের সিবিধা মিলবে এই কার্ড থাকলে।
তবে সকলেই এই যোজনার লাভ নিতে পারবেন না। এক্ষেত্রে বিশেষ কিছু মানুষকে বাদ রাখা হয়েছে। এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (EPFO) বা এমপ্লয়িজ স্টেট ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন (ESIC), বা ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম (NPS) এর সদস্য হলে সেই নাগরিক কিন্তু এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না। এছাড়াও হারা আয়কর দেন তারাও এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন না। এছাড়াও আবেদনকারী শ্রমিকের বয়স ১৬ থেকে ৯৯ বছরের মধ্যে হতে হবে।
আপনি যদি এখনো এই প্রকল্পে আবেদন করেননি, তাহলে জেনে নিন এর আবেদন পদ্ধতি। এর জন্য ই-শ্রমের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান। সেলহনে ‘Register on e-SHRAM’ লিঙ্কে ক্লিক করুন। এরপর সেখানে আপনার আধার-সংযুক্ত মোবাইল নম্বর এবং ক্যাপচা লিখুন। এবার মোবাইলে OTP এলে সেই OTP নির্দিষ্ট জায়গায় লিখুন। এরুর আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে। আবেদন ফর্মটি নির্ভুলভাবে পূরণ করুন। সব নথি দিন। শেষে সাবমিট করুন।