East-West Metro: ২০২৪-এর শুরুতেই গঙ্গার নীচে ছুটবে মেট্রো? বড়দিনের আগেই এসে গেল বড় আপডেট
কলকাতার (Kolkata) বুকে মেট্রো পরিষেবাকে অনেকে অনেক সময় শহরের হৃদস্পন্দন বলে এসেছেন। কারণ মহানগরীর একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে নির্দ্বিধায় কোনোরূপ ট্র্যাফিক জ্যাম ছাড়াই যাত্রীদের পৌঁছে দেয় এই পাতালরেল। ১৯৮৪ সালে চালু হওয়া এই পরিষেবা এখনো এক প্রাচীন ও আধুনিকতার ঐতিহ্য প্রদান করে তিলোত্তমা নগরীকে। বিগত দশকে শহরের একাধিক রুটে মেট্রো চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। আর সেই কারণেই মেট্রো রেলের বিস্তার বাড়ছে দিনের পর দিন। কলকাতা ছড়িয়ে জেলায় জেলায় এই পরিষেবা পৌঁছে দিতেও উদ্যোগী হয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।
মেট্রোর এই বিস্তারে যে প্রকল্পগুলির কথা ভাবা হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল গঙ্গার নীচ দিয়ে ট্রেন চালানো অর্থাৎ ‘ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো’ (East-West Metro)। হাওড়া-ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড রুটে মেট্রো শীঘ্রই ছুটবে গঙ্গার বুক চিরে, এমনটাই রয়েছে রুটম্যাপ। হাওড়া ময়দান থেকে সল্টলেক সেক্টর-৫ পর্যন্ত রুটে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে যাত্রী পরিবহণ। রেল সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকবছর ধরেই এই মেট্রো লাইনের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে কাজ শেষের মুখে জানিয়েছে মেট্রোরেল।
কিন্তু এখনো যাত্রী পরিবহনের জন্য কি পুরোদস্তুর প্রস্তুত এই রুট? এই প্রশ্নটা উঠে আসছে বিগত কয়েকমাস ধরেই। কারণ পরিকল্পনা মোতাবেক এতদিনে গঙ্গার নীচে মেট্রো পরিষেবা চালু হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে সেই পরিষেবা এখনো চালু হয়নি বাস্তবে। আর এবার এই মেট্রো পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মেট্রো কর্তৃপক্ষের উচ্চপদস্থ আধিকারিক। জানা গেছে, শুক্রবার কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির আধিকারিকের আসার কথা ছিল। জানা গেছে, তিনি পরিদর্শন না করেই ফিরে যান।
উল্লেখ্য, বর্তমানে এই মেট্রো প্রোজেক্ট নিয়ে একাধিক প্রশ্নচিহ্ন উঠে এসেছে। সূত্রের খবর, সুরক্ষা দফতরের আধিকারিক মোট ১৯ টি প্রশ্ন তুলে ধরা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ধর্মতলা স্টেশনে আপদকালীন ব্যবস্থা। সেই সঙ্গে ধর্মতলা স্টেশনের সামনে ডিপোর ব্যবস্থা। এই পরিস্থিতিতে আগামী বছরের শুরুতে যেখানে এই পরিষেবা চালুর কথা ছিল, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। তাই আগামী বছরের কোন মাসে এই পরিষেবা চালু হবে, তা নিশ্চিতভাবে এখনো বলা যাচ্ছেনা।