একের পর এক সম্পত্তির হদিস, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে রয়েছে জমি, কবে হবে সবের নিষ্পত্তি!
আদৌ কি ইডি পার্থ এবং অর্পিতার শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারবে? আদৌ কি পার্থ অর্পিতার থেকে প্রমাণ করা যাবে যে ওই ৫০ কোটি টাকা, নামী বেনামী সম্পত্তি, এসবের মূল পান্ডা কে? একাই পার্থ নাকি গভীর জলে আরো অনেক মাছ আছে। মূলত এই ধরনের প্রশ্ন উকি দিচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে। যারা তৃণমূলের সাপোর্টার তারা কেউ কেউ চুপ তো কেউ কেউ পার্থর জন্য শাস্তি দাবি করছেন। অন্যদিকে, যারা তৃণমূলের সাপোর্টার নয় তারা তৃণমূলের পিছনের ইতিহাস টেনে এনে পার্থ অর্পিতার কেচ্ছা তুলে ধরছে। এখন কোন অবস্থায় আছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়?
শুক্রবার পার্থ-অর্পিতাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। আপাতত, অর্পিতা আছেন আলিপুরের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। এবং,এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷
ইডি’র জেরার মুখ্য উদ্দেশ্য হল ওই ৫০ কোটি টাকা কার? কিভাবে এলো? কারা রয়েছে এই টাকার পিছনে? এখনও পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায় অর্পিতাকে চেনেন না বলে দাবি করেছেন। অথচ, অর্পিতা জানিয়েছেন যে ওই টাকা তার নয়, পার্থ বাবুর লোকজন টাকা রেখে যেত।
এদিকে, ইডি র তদন্তে উঠে এসেছে পার্থ অর্পিতার নামে বাংলো বাড়ি, একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, এল আই সি র ৩১ টি বীমা, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের পাশে একটি জমি, ৯টি ফ্ল্যাট এবং রিসোর্ট। মূলত, পার্থ-অর্পিতার সমস্ত রেকর্ড জড়ো করে আলাদা আলাদা জেরা করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকারের এই আধিকারিকরা। বোঝাই যাচ্ছে সব দিক দিয়ে তল্লাশি চালিয়ে আঁটঘাট বেঁধে ময়দানে নামবে ইডি। তবে, সঠিক বিচারের আশায় দিন গুনছে বাংলার সাধারণ মানুষ।