আর জল যন্ত্রণা নয়, মুর্শিদাবাদ-ফরাক্কায় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিতে বড় পদক্ষেপ সরকারের
বর্ষাকাল মানেই জলযন্ত্রণা। প্রচণ্ড বৃষ্টির জেরে অনেক এলাকাতেই বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে নদী তীরবর্তী অঞ্চলগুলিতে এমন দুর্বিষহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের সমস্যা তো হয়ই, উপরন্তু এই সমস্ত এলাকাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থাও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রতিবছর মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) এবং ফরাক্কায় ঘটে এমন ঘটনা। তবে এবার এই পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎপর প্রশাসন।
চিন্তায় স্থানীয়রা
বাংলায় বর্ষা ঋতু এগিয়ে আসছে। প্রতি বছর বর্ষায় মুর্শিদাবাদ এবং ফরাক্কায় বাসিন্দারা পড়েন চরম ভোগান্তির মুখে। মুর্শিদাবাদ এবং ঝাড়খন্ডের যোগাযোগ ব্যবস্থা এক রকম বন্ধই হয়ে যায়। প্রধান সড়ক পথে নামে ধস। এমতাবস্থায় ফের বর্ষার প্রাক্কালে চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন এখানকার স্থানীয়রা। তবে জানা যাচ্ছে, এবার এই সমস্যার চিরতরে সমাপ্তি হতে চলেছে। এ বিষয়ে বড় উদ্যোগ নিতে চলেছে সরকার।
মজবুত হবে যোগাযোগ ব্যবস্থা
জানা যাচ্ছে, মুর্শিদাবাদ এবং ফরাক্কার যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো মজবুত করতে এখানে তৈরি করা হবে সড়ক এবং সৈতু। এনটিপিসির তরফে একটি শর্তের বিনিময়ে এ বিষয়ে আর্থিক সাহায্য পাওয়ার কথাও জানা গিয়েছে। এনটিপিসির তরফে দাবি করা হয়েছে, এই প্যকল্পে তারা আর্থিক সহায়তা করবে। তবে রাজ্য সরকারকে জবরদখলকারীদের থেকে প্রায় ৩০০ একর জমি ছাড়িয়ে আনতে হবে। পালটা রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছে, এই জমিতে কোনো ছাই ফেলার কাজ করা যাবে না। উল্লেখ্য, ফরাক্কা ব্যারেজ প্রকল্পের পাশেই নিশিন্দ্রা গ্রামে একটি ছাই ফেলার পুকুর রয়েছে এনটিপিসির। এই পুকুরটির উপর দিয়েই সেতু তৈরির আবেদন করা হয়েছিল স্থানীয়দের তরফে।
উন্নত হবে জল নিকাশি ব্যবস্থা
জানা যাচ্ছে, ফরাক্কা এবং মুর্শিদাবাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো উন্নত করার লক্ষ্যে সেতু এবং সড়ক পথ নির্মাণ করতে প্রায় ১৪ কোটি টাকা খরচ হবে। এনটিপিসির তরফে এই প্রকল্পের খরচ বহন করা হবে। পালটা ৩০০ একর জমি উদ্ধার করে দিতে হবে সরকারকে। যদিও এই জমিতে কোনো রকম ছাই ফেলার কাজ করা যাবে না। এনটিপিসি কর্তৃপক্ষও এতে রাজি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতির পাশাপাশি স্লুইজ গেট সহ জল নিকাশির ব্যবস্থাও উন্নত করার পরিকল্পনা রয়েছে।