2021 সালের জুলাই মাসে শিল্পা শেঠি (Shilpa Shetty)-র স্বামী ও ব্রিটিশ শিল্পপতি রাজ কুন্দ্রা (Raj Kundra) -র বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে পর্ণ ফিল্ম বানানোর অভিযোগ উঠেছিল। মুম্বই পুলিশ রাতারাতি গ্রেফতার করে রাজকে। এরপর দীর্ঘদিন পুণের আর্থার রোড জেলে থাকার পর জামিনে মুক্ত হয়েছিলেন রাজ। এছাড়াও রাজের কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেনের তথ্য উঠে আসে ইডির হাতে। সেগুলিও অবশ্যই বেআইনি ছিল। এর আগে রাজ ক্রিকেট বেটিং চক্রে জড়িত ছিলেন। ফলে সন্দেহের তীর আবারও ঘোরে বেটিং-এর দিকে। কিন্তু এবার রাজকে স্বস্তি দিয়ে ইডির তরফে জানানো হয়েছে, পর্ণোগ্রাফির সাথে প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত ছিলেন না রাজ। এমনকি পর্ণ ফিল্ম বানিয়ে তা ভাইরাল করে কোনো অবৈধ আর্থিক লেনদেনের প্রমাণও পাওয়া যায়নি তাঁর বিরুদ্ধে। কিন্তু ইডির এই ঘোষণায় অবশ্য সম্পূর্ণ স্বস্তির ইঙ্গিত ছিল না।
কারণ এবার রাজের ভুয়ো কোম্পানি ও তার আর্থিক লেনদেন নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইডি। ঘনিষ্ঠ সূত্রে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ব্রিটেনে অবস্থিত কোম্পানি ‘কেনরিন’ থেকে একাধিক ভুয়ো কোম্পানিতে আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ উঠে এসেছে ইডির হাতে। বলা বাহুল্য, ভুয়ো কোম্পানিতে আর্থিক লেনদেনের ঘটনা অবশ্যই বেআইনি। ‘কেনরিন’ থেকেই হটশটস অ্যাপে আপলোড করা হত একাধিক পর্ণ ভিডিও। ‘কেনরিন’-এর মালিক প্রদীপ বক্সী (Pradip Bakshi) সম্পর্কের রাজের শ্যালক। কিছুদিন আগে অবধি শোনা গিয়েছিল , ‘কেনরিন’ প্রকৃতপক্ষে ছিল রাজের কোম্পানি যা পরবর্তীকালে চলে যায় প্রদীপের অধীনে। এমনকি হটশটস অ্যাপের জন্য তৈরি পর্ণ ফিল্মগুলির শুটিং হত মাড আইল্যান্ডের একটি বাংলোয়।
ইতিমধ্যেই ওই কোম্পানির সাথে ভারতের একাধিক ভুয়ো কোম্পানির আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ উঠে এসেছে ইডির হাতে। 2019 সালে ‘আর্মস প্রাইম মিডিয়া লিমিটেড’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও সৌরভ কুশওয়াহ (Sourav Kushwah) রাজকে তাঁর কোম্পানিতে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিলে রাজি হয়ে যান তিনি। প্রকৃতপক্ষে, শিল্পা ও রাজের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে নিজের সংস্থার পাবলিসিটি চেয়েছিলেন সৌরভ। 2019 সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ওই সংস্থার সাথে যুক্ত ছিলেন রাজ। ফলে তিনি ওয়াকিবহাল ছিলেন সেই সময় তৈরি হটশটস অ্যাপের ব্যাপারে।
পরবর্তীকালে ‘কেনরিন’-এর কাছে এই অ্যাপটি বিক্রি করে দেওয়া হয়। লক্ষ্যণীয় হল, ‘কেনরিন’-এর মালিক তথা রাজের আত্মীয় প্রদীপকেই কেন অ্যাপটি বিক্রি করা হল? ঘটনাটির সময়ে রাজ কিন্তু ‘আর্মস প্রাইম মিডিয়া লিমিটেড’-এর অন্যতম বিনিয়োগকারী ছিলেন। ঘটনাক্রম দেখে বোঝা যাচ্ছে, রাজ কোনোভাবেই নির্দোষ নন। হটশটস অ্যাপের বিক্রির ক্ষেত্রে রয়েছে তাঁর ভূমিকা। আপাতত এটাই দেখার, এই মামলার জল কোনদিকে গড়ায়!
View this post on Instagram