Lifestyle: ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিতে পারে সাদা বিড়াল, আশেপাশে দেখতে পেলেই করুন এই কাজ
ভারত তথা এশিয়ার মধ্যে অন্যতম প্রাচীন একটি শাস্ত্র হল বাস্তুশাস্ত্র। বহু শতাব্দী ধরে এই শাস্ত্র আমাদের বসতবাড়ির নানা বিষয়ে নানা তথ্য দিয়ে আসছে। বাড়ির কোথায় কোন জিনিস রাখলে, বাড়িতে লক্ষ্মীর বসবাস হয়, সেই বিষয়েও নানা মত দিয়ে থাকেন বাস্তুবিদরা। তেমনই বাড়িতে কোন গাছ লাগলে, সেই বাড়িতে সমৃদ্ধির দেবীর কৃপা বর্ষণ হয়, সেই বিষয়েও উল্লেখ রয়েছে বাস্তুশাস্ত্রে। এছাড়াও বাড়িতে নানা পশুপাখির আগমনের প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকে বাস্তুশাস্ত্রে।
বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, বিড়াল এমন একটি প্রাণী, যার প্রভাব অনেকভাবে পড়তে পারে আমাদের জীবনে। প্রচলিত ধারণায়, বিড়ালের গায়ের রং হিসেবে এর প্রভাব ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। কিন্তু সাদা বিড়াল প্রসঙ্গে কিছু ধারণা আপনাকে অবাক করতে পারে। হতে পারে, বিড়াল প্রসঙ্গে এমন মতামত যায়নি আগে কখনো শোনেন নি। অনেকেই সাদা বিড়ালকে মা লক্ষ্মীর প্রতীক বলে থাকেন। তাই বাড়িতে সাদা বিড়াল এলে বলা হয় যে সেই বাড়ির উপর প্রসন্ন ধনসম্পদের দেবী লক্ষ্মী। একইভাবে বাড়িতে মা লক্ষ্মীর পুজোর সময় বা বৃহস্পতিবার বাড়ির চারপাশে সাদা বিড়াল ঘোরাফেরা করলে সেটিকে শুভ ইঙ্গিত বলে মনে করা হয়।
অনেকেই আবার সাদা বিড়ালকে যাতায়াতের সময় দেখলে সেটিকে সাফল্যের ইঙ্গিত বলে মনে করেন। উল্টোদিকে আবার অনেকে এটিকে অশুভ বলেও মনে করেন। কিন্তু বাড়িতে সাদা বিড়াল এলে তা পজিটিভ এনার্জিকে বাড়িয়ে তোলে বলে মনে করে অনেকেই। আবার কারো মতে, বাড়িতে সাদা বিড়ালের ছানা দুধ খেলে তা সেই বাড়ির সন্তানদের উন্নতিকামনার ইঙ্গিত বহন করে থাকে। তাই এমন কাজকে শুভকাজ বলে গণ্য করা হয়।
তবে শকুন শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে কোনো বাড়িতে যদি বাদামি রঙের বিড়াল আসে, তাহলে তার ফলাফল শুভ হয়। মনে করা হয় এমন হলে বাড়ির সৌভাগ্য ফিরে আসে। তবে বাড়িতে কালো বিড়ালের আগমন কিন্তু মোটেই শুভ নয়। শকুন শাস্ত্রে এটিকে অশুভ ইঙ্গিত বলে মনে করা হয়। এছাড়াও কালো বিড়ালের কান্নাকে অশুভ বলে মনে করেন অনেকেই। তাদের বিশ্বাস, এমনটা হলে বাড়িতে কোনো খারাপ ঘটনা বা কোনো খারাপ খবর আসার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যনির্ভর। কোনরূপ কুসংস্কারকে প্রশ্রয় দেওয়া আমাদের উদ্দেশ্য নয়।