Egg Price: ক্রিসমাসের আগেই ‘ডবল’ হয়ে গেল ডিমের দাম! কবে কমবে মূল্যবৃদ্ধি?
করোনাকালীন সময়ের পর থেকেই দেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে মূল্যস্ফীতির সমস্যা। গত কয়েক মাসে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি যেন গোটা দেশে এক চরম সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষের কাছে। এর প্রভাবে মশলাপাতি থেকে সবজি, মাছ-মাংস, চাল ও ডাল- সবকিছুর দাম বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। বলা বাহুল্য, খুব অল্প সময়ে বেশি হারে ঘটেছে এই মূল্যবৃদ্ধি। শীতের শুরুতেই কার্যত এভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ছবিটা ধরা পড়েছে আমাদের রাজ্যেও। পেট্রোপণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব যে বিভিন্ন সামগ্রীর পরিবহনে পড়ছে, তা মোটামুটি পরিষ্কার নাগরিকদের কাছে।
মাসখানেক আগে টমেটো, কাঁচালঙ্কা, রসুন ও আদার দাম বেড়ে গিয়েছিল আচমকা। সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছিল এই জিনিসগুলি। তবে এর মধ্যে কাঁচালঙ্কা ও টমেটো র দাম এখন কিছুটা কমে এলেও এখন আবার চোখ রাঙাচ্ছে পেঁয়াজ, রসুন। একইসঙ্গে শীতের সবজি হলেও শিম, বেগুন ও মটরশুঁটির দামও এখন ঊর্দ্ধমুখী। কলকাতার বাজারে এখন পেঁয়াজের দাম রয়েছে কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা। রসুন কিনলে প্রতি কেজিতে দাম দিতে হচ্ছে ৩০০ টাকা।
এর মাঝে আবার চোখ রাঙাচ্ছে ডিমের দাম। বড়দিনের আগেই কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে বৃদ্ধি পাচ্ছে ডিমের দাম। কয়েক সপ্তাহ আগে পর্যন্ত প্রতি পিস ডিমের দাম ছিল ৫ টাকা থেকে ৬ টাকা। কয়েকমাস আগে ৭ টাকায় একজোড়া পোল্ট্রি মুরগির ফিম পাওয়া যেত। তবে ডিসেম্বরের শুরুতেই সেই ডিমের দাম পৌঁছে গিয়েছে ৭ টাকা থেকে ৮ টাকা প্রতি পিসে। এই দাম আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে এই সময়ে। আর এমনটা হলে যেখানে ডিম মধ্যবিত্তদের কাছে একটি সস্তার প্রোটিনযুক্ত খাবার হয়ে হেঁসেলে জায়গা পায়, তা কিছুটা হলেও ব্যাহত হবে।
যদিও ক্রিসমাসের আগে এমনিতেই ডিমের দাম একটু বৃদ্ধি পায়। কারণ ক্রিসমাসের আগে গোটা বিশ্বে কেকের উৎপাদন বেড়ে যায়। পশ্চিমের দেশগুলির পাশাপাশি আমাদের দেশেও এখন বড়দিনের আগে বেশি পরিমাণে কেক বিক্রি হয়। সেই কারণে ডিমের চাহিদা বাড়ে এই সময়ে। গতবছরও ডিমের দাম এই সময় ৭ টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল। তবে সেটি মাত্র একসপ্তাহ ছিল। তবে এবার পরিস্থিতি একটু জটিল। কারণ দক্ষিণ ভারতে সদ্য ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ডিমের উৎপাদন কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে।