বাড়ি ফিরে পেল উর্মি-সাত্যকি, দোলের দিনেই আসল ষড়যন্ত্রকারীদের পর্দাফাঁস!
মুমুদিদির বিয়ে থেকে সাত্যকিবাবুর বাবা এবং রাগির আন্টি বিবাহবার্ষিকী উদযাপন, বলা যেতে পারে যে রাত্রি দশটায় বাংলার মানুষ ডিনার টেবিলে বসে শুধু একটি ধারাবাহিকের প্রতি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে সেটি হলো এই পথ যদি না শেষ হয়। সিরিয়ালটির টিআরপি জি বাংলার চরম ভরাডুবির দিনেও শিবরাত্রির শেষ সলতের মত জ্বলছে। উল্টোদিকে প্রতিপক্ষ গঙ্গারামও বেশ জোরালো হয়ে উঠেছে।
বহুদিন পর ভিন্ন স্বাদের পারিবারিক গল্প টেলিভিশনের পর্দায় দেখতে পেরে উচ্ছ্বসিত দর্শকরা। কোথাও গিয়ে যেন উর্মি এবং সাত্যকি এই জুটির জনপ্রিয়তার কাছে সিদ্ধার্থ মিঠাইয়ের জুটিও হিমশিম খায়। এই পরিবারের প্রত্যেকটা চরিত্রের নিজস্ব গল্প এবং সেই চরিত্রগুলির অপূর্ব চরিত্রায়ন মন কেড়েছে দর্শকদের। নানা কারণে কিছু মুখ বদল করতে বাধ্য হয়েছেন পরিচালক। তবেই পরিবর্তনগুলি যে খুব একটা প্রভাব ফেলছে না টিআরপিতে তা প্রতি সপ্তাহের রেটিংয়েই বোঝা যাচ্ছে।
বর্তমানে সরকার পরিবার বাস্তুহারা। কোনো এক গভীর ষড়যন্ত্রে বলি হতে হয়েছে তাদের। ভিটে হারিয়ে আজ তারা পথে। বাড়ির বয়স্করা হয়ে উঠছেন অসুস্থ। এরই মাঝে উর্মি হন্যে হয়ে খুঁজছে প্রমাণ। ‘বাড়িকে যে করেই হোক বাঁচাতে হবে’ এই ধারণায় উর্মির বদ্ধপরিকর। তাঁর দৃঢ় সংকল্প সরকার বাড়িতে সবাই একসাথে আনন্দ দোল খেলবে।
উর্মির যেমন বলা তো তেমন কাজ। দোলের দিন ঠিক প্রমাণ জোগাড় করে বাড়ি বাঁচাতে সক্ষম হয় উর্মিং এমনি এক প্রোমো গতকাল প্রকাশ্যে এল সোশ্যাল মিডিয়ায়। উর্মি তাঁর আদরের টুকাই বাবুকে রং মাখিয়ে বলে,“অনেক চক্রান্তের শেষে বাড়িটা ফেরত পেয়েছি আমরা।” কিন্তু টুকাই বাবু এখনই নিশ্চিন্ত নয়। সে উর্মিকে স্পষ্ট জানায়, “লড়াই টা শেষ হবে সেই দিন যেদিন জানতে পারব এই চক্রান্তের পিছনে কে বা কারা ছিল।”
অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে যে পাওনাদার জবরদখল করে সরকার বাড়ি নিজের নামে করে নিয়েছিল তিনি উর্মির কাকা এবং তা কাকিকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, “এবার আপনাদের মুখোশটা খোলার সময় হয়ে গিয়েছে।” আর এতেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে উর্মির কাকা এবং কাকিমণির। তার কথাতে চূড়ান্ত ভয় পেয়ে গিয়েছে উর্মির মামনি। প্রোমোর শেষের দিকে সেখানে সাত্যকিকেও পৌঁছাতে দেখা যায়।
কি হতে চলেছে দোলের দিন? এনিয়ে অপেক্ষার প্রহর কাটছে না ধারাবাহিকের অনুরাগীদের। এরকম ধামাকাদার প্রোমোতে সিরিয়ালের সকল ফ্যানরাই খুব খুশি। একজন অনুরাগী লেখেন, “যে বিপদই আসুক উর্মি এবং সাত্যকি যেন একসাথেই লড়াই করে সব সময়।” অনেকেই মন্ত্রী সদানন্দের অভিনয়ের প্রশংসা করেন। অপর একজন অনুরাগী লেখেন,“এবার অন্তত ওই কাকিমণির পর্দাটা ফাঁস হোক আর ওনাকে নেওয়া যাচ্ছে না। ওনাকে নিয়ে যেন সাত্যকি এবং উর্মির মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি না হয়।”