রেশন দোকানের কারচুপি রুখতে ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন, বড়সড় প্রভাব পড়বে গ্রাহকদের উপর
রেশন বণ্টন ব্যবস্থায় ওজন যন্ত্রে যাতে কোনো ভাবেই কোনো কারচুপি না হয়, সেই জন্য বৈদ্যুতিন যন্ত্রের ব্যবহার চালু করা হচ্ছে। আর এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, রাজ্যের খাদ্য দপ্তরে তরফ থেকে আপাতত পাইলট প্রকল্প হিসাবে এই ব্যবস্থা চালু করা হবে। খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানিয়েছেন, যে ধাপে ধাপে রেশন দোকানগুলিতে বৈদ্যুতিন যন্ত্র ব্যবহার করতে হবে এবং এটা বাধ্যতামূলক ভাবেই করা হবে, যাতে কোন রকম ভাবে কারচুপি না করা হয় এবং এই কারচুপির ফাঁদে না কোন গ্রাহক পড়তে পারে, তার জন্য এমন ব্যবস্থা করা হবে। এর ফলে কোনো গ্রাহকই তার বরাদ্দ রেশন থেকে বঞ্চিত হবেন না।
রেশনের দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে গোটা রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হচ্ছে। রেশন ব্যবস্থাকে স্বচ্ছ করে তুলতে নড়েচড়ে বসেছে খাদ্য দপ্তর খাদ্য দপ্তর এর থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে এই দপ্তরের পোর্টালের মাধ্যমে নতুন রেশন কার্ডের আবেদন গ্রহণ করা শুরু হবে। শুধু তাই নয়, শুধুমাত্র আবেদন গ্রহণ করাই নয়, এই আবেদন গ্রহণ করা থেকে শুরু করে সব ধরনের পরিষেবা এবার অনলাইনে করে দেওয়া হবে, যাতে কোনো ভাবেই খাদ্য দপ্তরের বিরুদ্ধে কোনো রকম অভিযোগ না উঠতে পারে, এই ব্যবস্থাই ইতিমধ্যেই প্রায় কুড়ি লক্ষ মানুষ যুক্ত হয়ে গেছেন এমনটাই দাবি করছে খাদ্য দপ্তর।
আর রেশন সংক্রান্ত কোনো কাজের জন্য গ্রাহকদের যাতে বেশি দূরে কোথাও ঘুরতে না হয়, তার জন্য এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে। দপ্তরের তরফ থেকে আরো জানানো হয়েছে, যে এই যে অনলাইনে পুরো বিষয়টা নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে, যাতে সবটার উপরে খুব ভালো করে নজর রাখা যায় তার জন্য এছাড়াও জানানো হয়েছে যে, ই পজ অর্থাৎ বুড়ো আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে রেশন তোলার ব্যবস্থা চালু হয়ে গেছে, যার ফলে এবার তার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে বৈদ্যুতিন যন্ত্র।
বুড়ো আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে রেশন তোলার ব্যবস্থা থাকলেও অনেকেই অভিযোগ করছে যে কম রেশন পাচ্ছেন, সেই কারণেই ওজন যন্ত্র ই পসের সঙ্গে যুক্ত করা হবে এমনটাই পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আশা করে যাচ্ছে, এমন পরিকল্পনা যদি সত্যি সত্যি কার্যকরী হয়, তাহলে আর রেশন সংক্রান্ত কোনো রকম কোনো অভিযোগ থাকবে না গ্রাহকদের মনে।