Scholarship: বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য বিরাট ঘোষণা, এই সরকারি প্রকল্পে আবেদন করলেই মিলবে টাকা
টাকাপয়সার অভাবে অনেক মেধা তলিয়ে যায় ব্যর্থতার অন্ধকারে। অনেকেই অর্থের অভাবে পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারেন না। কিন্তু সেই দিন আর নেই। এখন দুঃস্থ অথচ মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের সাহায্যার্থে অনেকেই হাত বাড়িয়ে দেন। অনেক ব্যক্তি বা সংস্থা থেকে যেমন মেধা অনুযায়ী পড়ুয়াদের বৃত্তি দেওয়া হয়, তেমনই আবার একাধিক সরকারি বৃত্তিরও ব্যবস্থা রয়েছে বর্তমানে। সেখান থেকেই অনেকের পড়াশুনার খরচ দেওয়া হয়। আর এভাবেই অনেক মেধা আর তলিয়ে যায়না দারিদ্রতায়।
এখন অনেক সরকারি স্কলারশিপ চালু হয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের তরফে। স্কুলের মাধ্যমে পড়ুয়ারা মেধা ও বাড়ির আর্থিক অবস্থাকে বিবেচনা করে স্কলারশিপ প্রদান করা হয়। এই প্রতিবেদনে আমরা আলোচনা করবো এমনই একটি স্কলারশিপকে নিয়ে। বর্তমানে স্কুলে চালু রয়েছে ‘এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ স্কিম’। এই স্কলারশিপ যৌথভাবে দিয়ে থাকে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। এক্ষেত্রে মাসিক আড়াই হাজার টাকার স্কলারশিপ দেওয়া হয়। যার মধ্যে ৬০ শতাংশ দেয় রাজ্য সরকার এবং ৪০ শতাংশ দেয় কেন্দ্র সরকার। বাড়িতে বসেই আবেদন করা যায় এই স্কলারশিপের জন্য।
এই স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য রয়েছে একাধিক শর্ট। প্রথমত, এই প্রকল্পের জন্য যোগ্য আবেদনকারীর বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। এছাড়াও আবেদনকারীর নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। নিয়মানুযায়ী, আবেদনকারীকে অন্ততঃপক্ষে উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। তবে আবেদনকারী উচ্চশিক্ষিত হলেও আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও এক্ষেত্রে আবেদনকারীর পারিবারিক আয় হতে হবে নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে। এখতরে যোগ্য আবেদনকারীর পারিবারিক বাৎসরিক আয় হতে হবে ২.৫ লক্ষ টাকার কম।
তবে অধু এটুকুই নয়, এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য রয়েছে আরো একাধিক শর্তাবলী। তার মধ্যে অন্যতম হল এটিই যে আবেদনকারী কোনো সরকারি বা বেসরকারি সংস্থায় নিযুক্ত থাকতে পারবেন না। অর্থাৎ আবেদনকারীকে সম্পূর্ণভাবে বেকার হতে হবে। এছাড়াও আবেদনকারীকে এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ অফিসে সর্বনিম্ন দুই বছর আগে নাম নথিভুক্ত করে রাখতে হবে। এছাড়াও যোগ্য আবেদনকারী তিনিই হবেন, যিনি সরকারি কর্মসংস্থান নির্দেশিকা কেন্দ্রে নাম নথিভুক্ত করে রেখেছেন আগে থেকে।