টলিউডের মিষ্টি নায়িকাদের মধ্যে একজন এনা সাহা (Ena Saha)। ইন্ডাস্ট্রিতে দীর্ঘদিন ধরে রয়েছেন তিনি। ছোটপর্দার পাশাপাশি কাজ করেছেন বড়পর্দাতেও। ইদানিং প্রযোজক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। অনেকের মতেই এনা লম্বা রেসের ঘোড়া। যত দিন যাচ্ছে নিজেকেও তিনি ভেঙেচুরে আবার নতুন করে গড়ে তুলছেন। দর্শকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে সাজাচ্ছেন নিজেকে এবং নিজের প্রোজেক্টগুলিকে। মিষ্টি মুখের সঙ্গে বোল্ড অবতারের দুর্দান্ত মিশেল তিনি।
বর্তমানে অভিনেতা অভিনেত্রীদের একটা বড় ভরসার জায়গা হল সোশ্যাল মিডিয়া। নেট মাধ্যমে কম বেশি সক্রিয় থাকেন সব তারকারাই। ইনস্টাগ্রামে প্রায় সকলেই নিজেকে প্রোমোট করতে ছবি, রিল ভিডিও শেয়ার করে থাকেন। অনুরাগীদের সঙ্গে সহজে যুক্ত হওয়ার পাশাপাশি পরিচালক, প্রযোজকদের নজরে আসারও একটা বড় সুযোগ করে দেয় নেটমাধ্যম। তাই উঠতি অভিনেত্রী থেকে পোড় খাওয়া নায়িকারাও নিজেদের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল সাজান যতনে। ব্যতিক্রম নন এনাও। প্রায় ১.৫ মিলিয়ন ফলোয়ার রয়েছে তাঁর ইনস্টাগ্রামে।
বিভিন্ন ফটোশুটের ছবি ছাড়াও রিল ভিডিও ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করতে থাকেন এনা। সম্প্রতি কিছু ফটোশুটের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন তিনি। হালকা গোলাপি রঙের সিক্যুইনের শাড়ির সঙ্গে কালো স্লিভলেস ব্লাউজ পরেছেন তিনি। সঙ্গে হালকা গয়না, মানানসই মেকআপ আর খোলা চুল। কখনো কোমরে পোজ দিয়ে, কখনো আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন তিনি। কয়েক ঘন্টাতেই কয়েক হাজার লাইক পড়ে গিয়েছে ছবিগুলিতে। একজন লিখেছেন, ‘খুব সুন্দর এবং মিষ্টি’। আরেকজন লিখেছেন, ‘গ্ল্যামারাস’।
প্রসঙ্গত, মূলত অভিনয়ের ইচ্ছা নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে এলেও এখন দায়িত্ব বেড়েছে তাঁর। নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা খুলেছেন এনা। শেষবার তাঁর সংস্থা থেকে মুক্তি পেয়েছিল ‘চিনেবাদাম’ ছবিটি। কিন্তু বক্স অফিসে কার্যত ভরাডুবির সম্মুখীন হয় ছবিটি। ছবির নায়ক যশ দাশগুপ্ত মনোমালিন্যের জেরে প্রচার পর্ব থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন। বহুল বিতর্কের মুখে পড়ে সে সময় ভেঙেও পড়েছিলেন এনা। কিন্তু শেষমেষ নিজেই উদ্যোগ নিয়ে নিজের ছবির প্রচার করেন তিনি। তবে বক্স অফিসে ছবির মান বাঁচাতে অনেক চেষ্টা করলেও সক্ষম হননি এনা। তবে সে সময়ে অনেকেই কটাক্ষ করেছিলেন, যশের জন্যই সিনেমা ডুবেছে এনার। পরবর্তীকালে অবশ্য যশ নুসরতকে নিয়ে আরো একটি প্রোজেক্টে কাজ করেন অভিনেত্রী।
View this post on Instagram