Bishnu Palchowdhury: থেমে গেল লড়াই, প্রয়াত ‘জননী’-র পরিচালক বিষ্ণু পালচৌধুরী
বর্ষশেষের আগেই আরও একবার নক্ষত্রপতন। প্রয়াত হলেন বাংলার প্রথম মেগা ধারাবাহিক ‘জননী’-র স্রষ্টা বিষ্ণু পালচৌধুরী (Bishnu Palchowdhury)। দীর্ঘদিন ধরেই ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন বিষ্ণুবাবু। ক্রমশ শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে আটটা নাগাদ কলকাতার একটি হাসপাতালে প্রয়াত হন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল সাতষট্টি বছর।
ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত বিষ্ণুবাবু চিকিৎসার কারণে মুম্বইয়ের টাটা হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি সেখানেই তাঁর প্রথম পর্যায়ের কেমোথেরাপি সম্পন্ন হয়। এরপর কলকাতায় ফিরে আসেন বিষ্ণুবাবু। একুশ দিন পর চিকিৎসকের নির্দেশে দ্বিতীয় পর্যায়ের কেমো নিতে আবারও মুম্বইয়ে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে ফের মুম্বইয়ে যাওয়ার কথাও ভেবেছিলেন বিষ্ণুবাবু। সঠিক চিকিৎসার জন্য তা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু প্রথম পর্যায়ের কেমোথেরাপির পর 6 ই ডিসেম্বর কলকাতায় ফিরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। কিন্তু চিকিৎসকের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে আটটা নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন বিষ্ণুবাবু। বৃহস্পতিবারই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
View this post on Instagram
প্রকৃতপক্ষে, বিষ্ণুবাবুর ফুসফুসের ক্যান্সার ধরা পড়েছিল ফোর্থ স্টেজে। চিকিৎসা চললেও বাঁচার আশা ছিল কম। বৃহস্পতিবার সকালে হল জীবনের যবনিকা পতন। চলে গেলেন বিষ্ণুবাবু। কিন্তু অত্যন্ত নজিরবিহীন ভাবে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হল না পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে। অথচ বর্তমানে চ্যানেল ও ধারাবাহিকের রমরমা হত না যদি না এই মানুষটি থাকতেন। বাংলা দূরদর্শনে বিষ্ণুবাবুর হাত ধরেই শুরু হয় মেগা সিরিয়ালের কনসেপ্ট। বাংলার প্রথম মেগা ছিল ‘জননী’। এই ধারাবাহিকের মাধ্যমে ছোট পর্দায় আত্মপ্রকাশ ঘটে সুপ্রিয়া দেবী (Supriya Devi)-র।
‘জননী’-র নামভূমিকায় ছিলেন সুপ্রিয়া। ‘জননী’ অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছিল। ফলে এই মেগা শেষ হয়ে যাওয়ার কয়েক বছর পর তৈরি হয় ‘জননী’-র সিকোয়েল। তবে তা প্রথম ভাগের মতো জনপ্রিয় হয়নি। পরবর্তী কালে আকাশ আট চ্যানেলে ‘জননী’-কে রিমেক করা হয়েছিল। কিন্তু সেই ধারাবাহিক নজর কাড়েনি সুপ্রিয়া দেবী অভিনীত ‘জননী’-র মতো করে। টেলিভিশনের বিনোদনকে বদলে দিয়েছিলেন বিষ্ণুবাবু। ‘হুপহাপ’ (HOOPHAAP)-এর তরফে তারাদের জগতে বিষ্ণুবাবুর আত্মার প্রতি জ্ঞাপন হল শেষ শ্রদ্ধা। ‘হুপহাপ’ (HOOPHAAP) ভুলবে না আপনার অবদানকে। বিষ্ণুবাবুর কন্ঠে পাঠককুলের জন্য রইল ‘জননী’-র নেপথ্যের কাহিনী।