বাংলাদেশ থেকে বন্ধ আমদানি, মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের, চিকেনের পর বাড়তে পারে মাছের দামও!
ছাত্র আন্দোলনের জেরে উত্তাল বাংলাদেশ (Bangladesh)। কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে কার্যত আগুন জ্বলছে পদ্মাপারের দেশে। আর তার বড়সড় প্রভাব পড়েছে এপার বাংলাতেও। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে মার খেয়েছে মাছের আমদানি (Fish Market) ব্যবস্থা। বিগত তিন চার দিন ধরে বাংলাদেশ থেকে মাছের আমদানি স্তব্ধ রয়েছে। এর ফলে ইলিশের পাশাপাশি অন্য সব মাছেও যোগানেও টান পড়েছে। হাওড়ার পাইকারি ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকার লোকসানের সঙ্গে সঙ্গেই ফের মাছের দাম বৃদ্ধির বিষয়টা চিন্তায় ফেলেছে মধ্যবিত্তকে।
উল্লেখ্য, ওপার বাংলা থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০০ টন ভেটকি, ট্যাংরা, পাবদা, পমফ্রেটের মতো মাছ এসে পৌঁছাঢ় হাওড়ার পাইকারি বাজারে। কিন্তু বাংলাদেশে আন্দোলন চলার কারণে স্তব্ধ সমস্ত পরিবহন ব্যবস্থা। বাতিল হয়েছে ট্রেন। জারি করা হয়েছে কার্ফু। এর প্রভাব সরাসরি পড়েছে মাছের আমদানিতে। বাংলাদেশ থেকে মাছ আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিরাট সমস্যার মুখে পড়েছেন হাওড়ার পাইকারি ব্যবসায়ীরা। প্রতি দিন গড়ে প্রায় আড়াই কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে বলে খবর।
ফিশ ইমপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক জানান, আন্দোলনের জেরে বাংরাদেশের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। ফলে টাকাও পাঠানো যাচ্ছে না, নতুন অর্ডারও দেওয়া যাচ্ছে না। এমতাবস্থায় ফের মাছের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্ষার মরশুমে ওপার বাংলা থেকে ইলিশও পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে ধন্দে রয়েছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
এমনিতেই নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় সমস্ত জিনিসের দাম বেড়েছে। বেড়েছে মুরগির মাংসের দাম। মাছের দামও আগে থেকেই বেশ খানিকটা চড়া ছিল। এমন পরিস্থিতিতে ফের যদি মাছের দাম বাড়ে তবে মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস উঠবে সেকথা বলা বাহুল্য। মাছের চাহিদা বরাবরই বেশি থাকে বাজারে। উপরন্তু বর্ষায় ইলিশের চাহিদাও থাকে তুঙ্গে। এবার মাছের দামও যদি আকাশছোঁয়া হয় তাহলে সাধারণ মানুষের পাতে কী পড়বে তা নিয়েও চিন্তায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।