প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চার একটি বিশেষ উপাদান হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে গোলাপ জলের। গোলাপ জল হল গোলাপ ফুলের পাপড়ি থেকে প্রস্তুতকৃত সুরভীত জল। পাতন প্রক্রিয়ায় গোলাপ তেল থেকে তৈরী করার সময় উপজাত হিসাবে গোলাপ জল তৈরী হয়। ইউরোপ ও এশিয়ায় খাবারকে সুগন্ধি করতে, প্রসাধন এবং ঔষধ প্রস্তুত করতে গোলাপ জল ব্যবহৃত হয়। গোলাপ জলের সাথে চিনির মিশ্রনে গোলাপের সিরাপ তৈরী করা হয়, যা শরীরকে সতেজ রাখে।
তবে শুধুমাত্র রূপের চর্চা নয়, চুলের যত্নেও গোলাপ জল ব্যবহার করা যেতে পারে। গবেষণা বলছে, গোলাপ জলে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সহ নানা উপাদান আমাদের চুলের পক্ষে দারুন উপকারী। গোলাপ জলের ব্যবহারে চুলের নানান সমস্যাও নাকি দূর হতে পারে। তাই এবার চুলের যত্নের এই গোপন কম্মটি দেখে নিন আর শীতকালেও আপনার শখের চুলকে করে তুলুন আরো আকর্ষণীয়।
(১) খুশকির সমস্যায় গোলাপ জল: শীতকালে সিংহভাগ মানুষ মাথায় খুশকির সমস্যায় ভোগেন। মাথা নাড়ালেই ঝর ঝর করে ঝরে পড়ে খুশকির গুঁড়ো। বাইরে বেরোনো থেকে কর্মক্ষেত্রে, এই সমস্যা অনেককেই ইতস্তত করে তোলে। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে গোলাপ জল। গোলাপ জল স্ক্যাল্পের সুস্থতা বৃদ্ধি করে৷ যা খুসকির সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি দেয়৷ ফলে চুলের খুসকির সমস্যা থাকলে অতি সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়৷
(২) সিল্কি চুল পেতে গোলাপ জল: গোলাপ জল নিয়মিত চুলে ব্যাবহার করলে চুলের পুষ্টি বৃদ্ধি পায়। ফলে চুল হয়ে ওঠে ঝলমলে এবং সিল্কি। তাই কাছের মানুষের কাছে আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে অবশ্যই গোলাপ জল ব্যবহার করুন।
(৩) চুল পড়া কমাতে গোলাপ জল: শীতকালে চুল পড়ার সমস্যাতেও অনেকেই ভোগেন। তবে নিয়মিত চুলে গোলাপ জল ব্যবহার করলে চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
(৪) চুলের বৃদ্ধিতে গোলাপ জল: সব মেয়েই চায় লম্বা চুল। তবে অনেকেরই চুলের বৃদ্ধি শ্লথ হয়। এই সমস্যা থেকে সকলে মুক্তি খোঁজেন। আর এখানেই ম্যাজিকের মতো কাজ করতে পারে গোলাপ জল। চুলের স্ক্যাল্পে গোলাপ জল লাগালে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, এরফলে চুলের বৃদ্ধি আরও বাড়তে থাকে৷ এই কারণেই প্রতিদিন গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারেন।
(৫) স্ট্রেস কমাতে গোলাপ জল: আজকাল স্ট্রেস একটি খুবই সাধারণ সমস্যা। তবে এই সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে গোলাপ জল। গোলাপ জলে থাকা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে বাঁচায়৷ শরীরের অক্সিজেনের সঙ্গে রাসায়নির বিক্রিয়া হয়ে থাকে৷ সুস্থ থাকে শরীর।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ তথ্যভিত্তিক। যেকোনো শারীরিক সমস্যায় আগে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন।